রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
দেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে খালের জায়গ নাল হিসেবে দেখিয়ে নিজের গানের স্কুল ‘সুরের ধারা’র নামে লিজ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ররিবার আমাদের সময়ের প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধসংলগ্ন এলাকায় ১১০ শতাংশ জমি লিজ নেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সেখানে ইতোমধ্যে ‘সুরের ধারা’র জন্য ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে জমিটিতে ১০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন বন্যা।
বরাদ্দকৃত ও জায়গায় ‘সুরের ধারা’র ভবন নির্মাণের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনেক মুখ।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিএস/এসএ খতিয়ান নম্বর ১-এর ৬৯২ দাগ, আরএস জরিপের ১ নম্বর খতিয়ানের ১৮৯৫ নম্বর দাগ এবং সিটি জরিপের ১ নম্বর খতিয়ানের ১১৪১২ নম্বর দাগের ওপর নির্মিত হয়েছে সুরের ধারা স্কুলটি। ডিসি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিটি জরিপের পর খালের ওই জায়গা নাল হিসেবে দেখানো হয়। যার ফলে সেখানে আর খাল নেই।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
খালের জায়গায় নির্মিত রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ‘সুরের ধারা’ নামক গানের স্কুল
এ বিষয়ে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘রাজউক কোনো খালের ওপর ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয় না; দেবে না। যেহেতু জায়গাটি এখন নাল জমি, তাই আইনগতভাবে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিতে রাজউকের বাধা নেই। তবে যারা খালকে নাল হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তারাই বলতে পারবে কিসের ভিত্তিতে নাল ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে রাজউকের কোনো দায় নেই।’
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’
তবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার আমাদের সময়কে বলেন, ‘খাল কেউ কাউকে দিতে পারবে না। খাল, নদী পাবলিক প্রপার্টি। পাবলিক প্রপার্টি কেউ লিজ দিতে পারে না। যারা দিয়েছে, তারা আইন ভঙ্গ করেছে। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন ২০১৯ সালে আমরা প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। সকল খাল উচ্ছেদ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো সংস্থাই ব্যবস্থা নেয়নি। এটা সংবিধানের লঙ্ঘন।’