এমপক্স নিয়ে সতর্কতা, বেনাপোল বন্দরে মেডিকেল টিম গঠন
করোনা মহামারির পর আরেক উদ্বেগের নাম এখন এমপক্স (মাঙ্কিপক্স)। সম্প্রতি আফ্রিকার দেশগুলোতে এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থাও জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)।
এরই মধ্যে এমপক্স নিয়ে বাংলাদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও এখনো দেশে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়নি। তারপরও মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা গেলে সন্দেহভাজনদের দ্রুততম সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬২৬৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে এমপক্স প্রতিরোধে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. মরিয়ম খন্দকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এরই মধ্যে ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছেন।
মরিয়ম খন্দকার জানান, ভারতফেরত যাত্রীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজন যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে তাপমাত্রা। উপসর্গ নিশ্চিতে চোখ, হাত ও পা দেখা হচ্ছে।
এমপক্স ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় এই বিষয়ক একটি সতর্কবার্তা লাগানো হয়েছে ইমিগ্রেশনের গেটে। সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার কথা লেখা হয়েছে সেই বার্তায়। লেখা হয়েছে, ‘সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনে, ব্যবহার করা কাপড়, সুঁই বা অন্যান্য জিনিসের মাধ্যমে, আক্রান্ত প্রাণী শিকার করা, কাটা বা রান্নার সময় কম তাপমাত্রা থাকলে, এমনকি গর্ভবতী মায়েদের থেকে অনাগত সন্তানদের কাছে এই ভাইরাস যেতে পারে।’
গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মাঙ্কিপক্স একটি সংক্রামক রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে।