বিয়ের দাবিতে আনসার সদস্যের বাড়িতে নারীর অনশন
জামালপুরের মেলান্দহে বিয়ের দাবিতে মো. মিন্টু মিয়া (৩৫) নামের আনসার সদস্যের বাড়িতে এক নারী (৩০) অনশনে বসেছেন। বাড়িতে গিয়ে মিন্টুকে না পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই নারী। পরিস্থিতি দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন মিন্টুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
আজ শনিবার দুপুরে মিন্টু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে আছেন অনশনরত নারী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের টুপকারচর এলাকায় মিন্টুর বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই নারী।
আনসার সদস্য মিন্টু টুপকারচর গ্রামের বাসিন্দা মনোহর আলীর ছেলে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কর্মরত আছেন। অনশনরত নারী উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী নারী জানান, মিন্টু মিয়ার সাথে প্রায় ৮ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে দেখা করার কথা বলে ওই নারীকে কৌঁশলে ডেকে নিয়ে রৌমারী বিলে নৌকার মধ্যে রাত্রিযাপন করেন মিন্টু। গত বুধবার বিয়ের কথা বলে ওই নারীকে ঢাকায় নিয়ে যান মিন্টু। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে বিয়ের কাবিনের খরচের কথা বলে মিন্টু ওই নারীর থেকে ২০ হাজার টাকা নেন। এ সময় মিন্টু খাবার কিনতে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতলে রাত্রিযাপন করেন ওই নারী। পরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মিন্টুর বাড়িতে তিনি বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘সাড়া রাত ঘরের বাহিরে থাকতে হয়েছে। সকালে মারধর করে বাড়ির গেটের সামনে ফেলে রাখেন মিন্টু ও তার পরিবার। বাড়ি থেকে মিন্টুর পরিবারের লোকজন সবাই পালিয়ে গেছে। বিয়ের দাবিতে এসেছি, বিয়ে ছাড়া এই বাড়ি থেকে যাব না।’
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই নারী মিন্টুর বাড়িতে অবস্থান শুরু করেন। সারা রাত ঘরের সামনে বসে ছিল ওই নারী। সকালে মিন্টুর পরিবারের লোকজন অনশনরত নারীকে মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যান। ওই নারী প্রায় তিন-চার ঘণ্টা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। মিন্টু আগে বিয়ে করেছিল, সেই বউ চলে গিয়েছে এবং যে মেয়েটি এখন বিয়ের দাবিতে এসেছে এই নারীরও বিয়ে হয়েছিল। তারা দুজনেই একসাথে পড়াশোনা করত আগে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিন্টু মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।