কেনিয়ায় বিমানবন্দরের কাজ পাচ্ছেন আদানি, তীব্র ক্ষোভ কর্মীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৪৩
শেয়ার :
কেনিয়ায় বিমানবন্দরের কাজ পাচ্ছেন আদানি, তীব্র ক্ষোভ কর্মীদের

কেনিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর জেকেআইএ’র বিকাশ ও উন্নয়ন করার কথা ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিমানবন্দরের কর্মচারী ইউনিয়ন।

সরকারের পক্ষ থেকে গতমাসে আদানির প্রস্তাব নিয়ে বলা হয়েছে, জেকেআইএ বিমানবন্দরের বছরে ৭৫ লাখ যাত্রী ঠিকভাবে যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু এখন যাত্রীসংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই এখন পরিকাঠামোর জরুরি ভিত্তিতে উন্নতি ঘটানো দরকার। উপর থেকে পানি পড়ার মতো ঘটনাও ঘটছে।

কেনিয়ার এভিয়েশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের দাবি, আদানি এয়ারপোর্টস হোল্ডিংসের সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তি বাস্তবায়িত হলে কেনিয়ার বাইরের থেকে কর্মীদের নিয়ে আসা হবে এবং এর ফলে কেনিয়ার অনেকের চাকরি যাবে। তাই তারা সাতদিনের নোটিস দিয়ে ধর্মঘটে নামছে।

ইউনিয়নের দাবি, সরকারকে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। তারা মনে করে, সরকার জেকেআইএ বিমানবন্দরকে বেআইনিভাবে বেচে দিতে চাইছে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেনিয়ার এয়ারপোর্ট বেচে দেয়া হচ্ছে না। প্রস্তাবিত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের উন্নয়নের কাজের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য আদানির কোনো মুখপাত্রকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

কেনিয়ার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মস এনডিয়েমা বলেছেন, ‘আদানির সঙ্গে চুক্তি পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। এবং কেনিয়া এয়ারপোর্টস অথরিটি(কেএএ)-র পুরো বোর্ডকে ইস্তফা দিতে হবে।’

কেএএ সোমবার জানিয়েছে, তারা ধর্মঘটের নোটিস পেয়েছে। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান পাওয়া যাবে বলে তারা আশাবাদী। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর দ্বিতীয় রানওয়ে বানানো এবং যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য টার্মিনাল উন্নয়ন করার কথা আছে।’

কেনিয়া সরকার বলছে, জেকেআইএ-র আধুনিকীকরণের জন্য ২০০ কোটি ডলার চাই। বর্তমান আর্থিক অবস্থায় যা দেওয়া সরকারের পক্ষে কঠিন। আদানির প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। যদি কোনো চুক্তি করা হয়, তা হলে দেশের স্বার্থ বজায় রেখে তা করা হবে।