জামিন মেলেনি পিএসসির গাড়িচালক আবেদ আলীর
বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন মডেল থানার মামলায় পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গত ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় সৈয়দ আবেদ আলীসহ ৭ জন রিমান্ড ছাড়াই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তি দেওয়া অপর ৬ আসামি হলেন, পিএসপির অফিস সহায়ক (ডেসপার রাইডার) খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী দুই সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও লিটন সরকার। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া স্বীকারোক্তি ছাড়া কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম, পিএসসি’র উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান।
গত ৭ জুলাই রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রশ্নফাঁস নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর অভিযানে নামে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার পলাতক আসামি রয়েছেন ১২ জন। এরা হলেন, পিএসসির প্রাক্তন সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, জনৈক মো শরীফুল ইসলাম ভুইয়া, দীপক বনিক, মো খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো সুমন, এএ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, মো গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জন আসামি রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি