আমিরাতে দণ্ড পাওয়া বাংলাদেশিদের মুক্ত করতে আইনজীবী নিয়োগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশি কর্মীদের মুক্ত করতে আইনজীবী নিয়োগ করেছে সরকার। আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গতকাল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের মুক্তির বিষয়ে দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে কিছু কিছু মিশনে কিন্তু মিছিল হয়েছে। একটি দেশ-আমিরাতে আমাদের বেশ কিছু নাগরিককে আটক করে বিচারের মাধ্যমে জেলও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টা আমরা গভীরভাবে দেখছি। তারা কিছুতেই যেন সাফার না করে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আশা করছি আজ-কালের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা সম্মতি দিয়েছেন তিনি নিজে কথা বলবেন। আমিরাতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন, যাতে তারা (শাস্তি পাওয়া কর্মীরা) সহায়তা পেতে পারে। শাস্তি ছাড়া, তাদের যেন মুক্তি দেওয়া হয়। অন্তত যেন তাদের শাস্তি না হয়। তারপর তাদের সহায়তা দেব যতটা পারা যায়।’
বাংলাদেশি কর্মীদের শাস্তির প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে তারা, দেশটিকে দোষারোপ করতে পারি না। তারা হয়ত স্থানীয় আইনের মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছে। তারা তাদের আইন অনুযায়ী কাজ করেছেন। কিন্তু মানুষের যে সেন্টিমেন্ট, যে কারণে তারা এটার পক্ষে এসেছেন, তখন হয়ত তারা অনেকে আইন-কানুন ভুলে গেছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন তাদের মুক্ত করতে পারি।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশি কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে দেশটির সরকার।