ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি-অস্থিরতা, যা বলছে সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৩৩
শেয়ার :
ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি-অস্থিরতা, যা বলছে সিপিডি

ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ এক জন দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ ৬ বছর করার প্রস্তাব করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

আজ সোমবার দুপুরে ‘ব্যাংকিং খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সংশোধনের প্রস্তাবে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইনটি সংশোধন করে দুই জন থেকে চার জন করা হয় এবং মেয়াদ করা হয় নয় বছর। পরে ২০২৩ সালে কমিয়ে ৩ জন করা হলো কিন্তু মেয়াদ করা হলো ১২ বছর। এই ব্যবস্থাটা কিন্তু একটি অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। আমাদের রিকমেন্ডেশন হচ্ছে, প্রতি পরিবার থেকে একজন করে পরিচালক থাকবে এবং তিন বছর করে সর্বোচ্চ দুই বারে ৬ বছর থাকবে।‘

বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করার সক্ষমতা সমুন্নত রাখার কথা উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারা সে ক্ষমতা প্রয়োগ করে না।‘

রাজনৈতিক কারণে যেন কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স না দেয়া হয় দাবি করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘২০১৩ সালে নতুন করে ৯টা ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হলো। যাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। বিভিন্ন ব্যাংক, টেলিভিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স কি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে দেয়া হয়? আর নতুন কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স যেন অর্থনৈতিক উপযোগিতা বিবেচনা না করে দেয়া না হয়।‘

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্যাংককে ক্যাপিটালাইজ করার জন্য ১৫ হাজার ৭শ ৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের বন্ধ করতে হবে। দুর্বল ও সমস্যা সংকুল ব্যাংক যেন সরে যেতে পারে, সে জন্য আমাদের সঠিক এক্সিট পলিসি দরকার। যাতে করে গ্রাহকের অর্থ সংরক্ষিত হয়।‘

পরিশেষে ঋণ খেলাপিদের বিভিন্ন কার্ড সেবা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘যারা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের ব্যবহার করা মাস্টার, ভিসা, সুইফট কার্ডের নেটওয়ার্কের সঙ্গে, তাদের তথ্য শেয়ার করা দরকার যেন বিদেশে তাদের কার্ড ব্যবহার বন্ধ থাকে।‘