মারধরের চারদিন পর হাসপাতালে আন্দোলনকারীর মৃত্যু

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
১১ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৯
শেয়ার :
মারধরের চারদিন পর হাসপাতালে আন্দোলনকারীর মৃত্যু

ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার আমানউল্লাপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক স্কুলছাত্রীকে মারধর করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় আবিদুল ইসলাম (১৫)। ওই ঘটনার চারদিন পর গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদের মৃত্যু হয়। সে দাগনভূঞা একাডেমির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দাগনভূঞায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্কুলছাত্রী সুমাইয়া পরিবারসহ উপজেলার আমানুল্লাপুর গ্রামের নিজাম টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভরনে ভাড়া থাকতো। গত সোমবার সে ওই ভাড়া বাড়ির ছাদে পতাকা উত্তোলন করে। ভবন মালিক নিজাম উদ্দিন, তার ভাই জসিম উদ্দিন ও বাড়ির দারোয়ানসহ কয়েকজন ওই স্কুলছাত্রীকে মারধর করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অপর এক কর্মী আবিদুল ইসলামের বাবা ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে আবিদকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনার চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার সকালে আবিদ মারা যায়।

খবর পেয়ে আজ রবিবার সকালে পুলিশ এসে বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় জানাজা শেষে আমানউল্ল্যাহপুর পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।