চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারজটে বিঘ্নিত ব্যবসা-বাণিজ্য
চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস কন্টেইনার রাখার জায়গা রয়েছে। আজ শুক্রবার পর্যন্ত ৪২ হাজার ৭৬৮ টিইইউস। ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি কন্টেইনার জমে যাওয়ায় দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে কন্টেইনারজটের সৃষ্টি হয়েছে এতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি পণ্য ডেলিভারি কমেছে। এতে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হলে আমদানি খরচ বেড়ে যাবে এবং ব্যাহত হবে পণ্য রপ্তানি। এছাড়া, বন্দরে জাহাজে পণ্য উঠানামার কাজে বিঘ্নিত ঘটছে এবং জাহাজজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানিমুখি শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ বিভিন্ন আমদানি পণ্যের সরবরাহ, বিঘ্নিত হচ্ছে সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা।
দেশের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআই’র পোর্ট অ্যান্ড শিপিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমীন। তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়ে ওঠবে উল্লেখ করে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণবিপ্লবের সব বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সকল শহীদ ও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ এবং আন্দোলনে যারা আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে নতুন সরকারের সকল উপদেষ্টাদেরও শুভেচ্ছা জানান।
চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য দ্রুত গতিশীল করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এনবিআর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীগণের সহায়তা জরুরি। চট্টগ্রাম বন্দর এবং আমরা টার্মিনাল অপারেটর, বার্থ অপারেটরগণ আমদানি পণ্য ডেলিভারি এবং রপ্তানিপণ্য জাহাজীকরনে প্রস্তুত আছি। সকলের প্রচেষ্টায় এই সংকটকালে আমরা তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। ’