প্রবীণে তারুণ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু
প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ উপদেষ্টার শপথ ।। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা আমার প্রথম কাজ : বিমানবন্দরে ড. ইউনূস
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নবীন-প্রবীণের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথগ্রহণ করেছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ জন সদস্য শপথ নিয়েছেন। অনুপস্থিত থাকায় বাকি তিন উপদেষ্টা পরে শপথগ্রহণ করবেন। বঙ্গভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এ সময় ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করার পর অনুষ্ঠিত হয় শপথগ্রহণ।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রথমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর রাষ্ট্রপতি ১৩ উপদেষ্টার শপথবাক্য পাঠ করান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, তিনজন উপদেষ্টা ঢাকার বাইরে থাকায় গতকাল শপথগ্রহণ করতে পারেননি। মাত্র ১৭ মিনিটে শেষ হয় শপথ অনুষ্ঠান।
শপথ নিলেন যারা : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
পর শপথ নেওয়া ১৩ উপদেষ্টা হলেনÑ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির আ. ফ. ম খালিদ হাসান, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বেসরকারি সংস্থা ব্রতী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ।
অনুপস্থিত তিন উপদেষ্টা : জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়, পররাষ্ট্র ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশন জেকপটের আভিযানিক দলের উপাধিনায়ক ফারুক-ই-আযম (বীর প্রতীক)।
শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অতিথি : বিভিন্ন রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিকসহ সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা যোগ দিলেও ছিলেন না আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাদের কেউ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিণী অধ্যাপক আফরোজী ইউনূস, সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খাঁন, এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবেদীন, শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, দলটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, মোস্তাক হোসেন, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ, সাবেক অর্থনমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বাসদের খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেখা যায়নি। তার আসনটি শূন্য ছিল। বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী বঙ্গভবনে এলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘ভুয়া, ভুয়া’ ধ্বনি আর তোপের মুখে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা প্রথম কাজ : শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকায় ফিরে তার প্রথম বক্তব্যে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে তার প্রথম কাজ। কারও ওপর কোনো হামলা যাতে না হয়, সেই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘আমার ওপর আস্থা রাখুন।’ তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এ স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতেই হবে।’
দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেরেন ড. ইউনূস। তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এরপর তিনি বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সরকার হয়ে উঠেছিল দমন-পীড়নের একটি যন্ত্র। এটা সরকার হতে পারে না। সরকারকে দেখে মানুষ উৎফুল্ল হবে। সরকার মানুষকে রক্ষা করবে। আমাদের সারা বাংলাদেশ একটি পরিবার।’ দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘মানুষ মানুষকে আক্রমণ করছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। সবাইকে রক্ষা করা আমাদের কাজ। প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই। বিশৃঙ্খলা অগ্রগতির বড় শত্রু। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের প্রথম কাজ।’
তিনি বলেন, ‘দেশবাসীর কাছে আবেদন, আপনারা যদি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন, তবে দেশের কারও ওপরে হামলা হবে না। বিশৃঙ্খলা থেকে, সহিংসতা থেকে রক্ষা করুন। কোনো গোলযোগ যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের গৌরবের দিন। যে বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বিজয় দিবস সৃষ্টি করল তরুণরা, সেটাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটা সম্ভব করেছে, যে তরুণসমাজ, তাদের প্রতি আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। নতুন করে পুনর্জন্ম দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। অবিশ্বাস্য এক সাহসী যুবক।’ আবু সাঈদের কথা বলার সময় অধ্যাপক ইউনূস কেঁদে ফেলেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এ স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাছে এর সুফল পৌঁছে দিতে হবে। স্বাধীনতার অর্থ হলো দেশ তোমাদের হাতে। তোমাদের মনের মতো করে গড়তে পারো। পাল্টে ফেলতে পারো। পুরনোদের বাদ দাও। তোমাদের মধ্যে সৃজনশীলতা আছে, তাকে কাজে লাগাও।
ভক্তদের সেøাগান: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি ফটক দিয়ে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে বের হন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাকে স্বাগত জানাতে যাওয়া ভক্তরা সেøাগান দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তারা কণ্ঠে শোনা যায়, ‘ড. ইউনূসের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘ইউনূস স্যার এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’সহ বিভিন্ন সেøাগান। এ সময় ছাত্র-জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদনের জবাব দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিমানবন্দর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে ওঠা পর্যন্ত সড়কের দুই ধারে ছাত্র-জনতা সেøাগান দেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন : রাজধানীর মিন্টো রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস শপথ নেওয়ার পর যমুনায় ওঠার কথা। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ মানুষ ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনে। এর ফলে এই দুই জায়গায় আপাতত অফিস করা বা বসবাস করার মতো পরিবেশ নেই।
আগেই প্রস্তুত ছিল উপদেষ্টাদের গাড়ি : মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা যেসব গাড়ি ব্যবহার করেছেন, সেই গাড়িই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত করেছে সরকারি পরিবহন পুল। ২৫টির বেশি গাড়ি প্রস্তুত রাখা হলেও পরে চাহিদা অনুযায়ী যারা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার ডাক পেয়েছেন, তাদের নিয়ে যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য বরাদ্দ হয় বিএমডব্লিউ অত্যাধুনিক সিরিজের গাড়ি। অন্যদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া গাড়িগুলের মধ্যে রয়েছে টয়োটা ক্যামরি হাইব্রিড মডেলের (২৫০০ সিসি) গাড়ি এবং মিতসুবিশি ল্যান্সার ইএক্স মডেলের (১৬০০ সিসি) গাড়ি।
শেষ মুহূর্তে প্রস্তাব পেয়েছি : সুপ্রদীপ চাকমা : আমাদের সময়ের রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, নতুন সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমাকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও সময়ের অভাবে তিনি শপথ নিতে পারেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় তাকে বিষয়টি জানানো হয়। তখন তিনি রাঙামাটি শহরে। ফলে এত কময়ে শপথ নিতে তার পক্ষে ঢাকায় আসা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি স্বীকার করে সুপ্রদীপ চাকমা আমাদের সময়কে বলেন, আমাকে উপদেষ্টা করার কথা শেষ মুহূর্তে জানানো হয়েছে। তাই আমার পক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানে পৌঁছা সম্ভব নয়। আমি জেনেছি সন্ধ্যা ৭টার দিকে। আমার একটা মন্ত্রণালয় (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক) আছে। তাদেরকে বলতে হবে। তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেন, তাই হবে। তিনি আজ শুক্রবার ঢাকায় যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, দেখি না কী হয়।
সুপ্রদীপ চাকমা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৩৪ বছর টানা চাকরি করেন। হয়েছেন সচিবও। তিনি ভিয়েতনাম ও মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনামে টানা রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গত এক বছরের বেশি সময় ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আহতদের দেখতে হাসপাতালে ইউনূস : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েই আন্দোলনে আহতদের খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসাধীনদের সঙ্গে কথা বলেন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গত এক বছরের বেশি সময় ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।