সেনাপ্রধানের বৈঠকে ছিলেন জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
০৫ আগস্ট ২০২৪, ১৮:০৭
শেয়ার :
সেনাপ্রধানের বৈঠকে ছিলেন জামায়াতের আমির

সংকট নিরসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

আজ সোমবার দুপুরে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে আরও উপস্থিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অনেকে।

বৈঠক শেষে আজ বিকেল ৪টার কিছুক্ষণ আগে জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘দেশে একটা ক্রান্তিকাল চলছে। সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ করেছিলাম। আমরা সুন্দর আলোচনা করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন দেশের সব কার্যক্রম চলবে।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে ওনার সঙ্গে কথা বলব। তার সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে।’

সব হত্যার বিচার হবে জানিয়ে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আপনারা সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখেন। আমরা সমস্ত দায়দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের কথা দিচ্ছি, আশাহত হবেন না। যত দাবি আছে, সেগুলো আমরা পূরণ করব। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসব। আমাদের সহযোগিতা করেন। প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।’

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ দুপুর ২টার দিকে জাতির উদ্দেশে সেনাপ্রধানের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। পরে তা পিছয়ে ৩টায় করা হয়। সেই সময়ও পেছানো হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার সেনাসদরের হেলমেট অডিটোরিয়ামে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণের আস্থার প্রতীক। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।’