সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সংলাপের আহ্বান মানবাধিকার কমিশনের
বর্তমানে চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা জানিয়ে জাতীয় জীবনে শান্তি, জনসাধারণের নিরাপত্তা ও জনগণের দৈনন্দিন জীবন যাপনে স্বস্তি আনতে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আজ রবিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল পর্যায়ে সাংবিধানিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির অনুসরণে জনগণের অধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে দেশে বহুসংখ্যক মূল্যবান প্রাণহানি ঘটেছে যা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। সকল প্রকারের সহিংসতা ও নাশকতা পরিহার করে জনজীবনে শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টার প্রতি ইতিপূর্বেও কমিশন বেশ কয়েকবার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এত বেদনাদায়ক ঘটনার পরও আন্দোলনের তীব্রতা কমছে না। এ অবস্থায় পরস্পর বিরোধী পক্ষসমূহের মারমুখী অবস্থান ও প্রায়শঃ ঘটানো সহিংসতায় কোনো শান্তি আনার পরিবর্তে ভবিষ্যতে অধিকতর দুর্ভাগ্যজনক প্রাণহানি ও নির্মমতার শঙ্কা সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে সকল অস্থিরতা নিরসনপূর্বক স্থিতিশীলতা আনয়ন বিশেষভাবে প্রয়োজন। জাতীয় পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ ও পারস্পারিক বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি হতে পারে সারা বিশ্বে স্বীকৃত আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে। এ জন্য সকলের মাঝে সহযোগিতা, সহনশীলতা ও সহমর্মিতামূলক মনোভাব পোষণ করে সকল পক্ষ সংলাপে অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন’।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সকল সংঘাত এড়িয়ে চলার উদ্দেশ্যে সরকার ও আন্দোলনকারী পক্ষগণ সকলে মিলে সংক্ষুব্ধতার সকল বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করার মাধ্যমে দেশে শান্তি আনয়নের চেষ্টায় ব্রতী হওয়ার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সকলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আহ্বান জানান। আর কোনো সহিংস ঘটনা যাতে জনসাধারণের জান ও মালের ক্ষতি সাধন না করে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার জন্য তিনি আন্তরিক আহ্বান জানান।
কমিশন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সংবিধানের মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জাতীয় সংস্কৃতি বিরাজ গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের সমান ও অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং মর্যাদার প্রতি বিশেষ নজর প্রদানের মাধ্যমে দ্রুত সকল সংকট নিরসনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।