আশুলিয়ায় ৫ পোশাক কারখানা আগুন, থানা ও প্রেসক্লাবে হামলা
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় পাঁচটি পোশাক কারখানা ও প্রেসক্লাবে আগুন দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। এ ছাড়া পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে একজন নিহতসহ অর্ধ-শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আজ রবিবার বিভিন্ন সময় এসব ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত ৩০ জন। গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
একপর্যায়ে হামলা চালানো হয় আশুলিয়া প্রেসক্লাবে। পরে সংবাদকর্মীদের মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর হামলা চালানো হয় আশুলিয়া থানায়। ভাঙচুর করা হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। থানায় ছোঁড়া ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে আহত হন অন্তত ২০ জন। এ সময় আশুলিয়া থানার সামনে থাকা অন্তত পাঁচটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘আশুলিয়ায় অন্তত পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছি। এর মধ্যে বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেড, হামিম গ্রুপ, সিনহা টেক্সটাইল ও বেঙ্গল গ্রুপের পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আশুলিয়ায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের দুই পাশে আরও কারখানায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বেক্সিমকো সিনথেটিকসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রওনা হলেও চক্রবর্তী এলাকায় বাধার মুখে পড়ে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপরও হামলার চেষ্টা করা হয়। আন্দোলনকারীদের বাধার কারণে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।’
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা থানায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিলো। আমরা তাদের প্রতিহত করেছি।’