রিমান্ড শেষে রিজভী-পরোয়ারসহ ৬ জন কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক
০৪ আগস্ট ২০২৪, ২১:৪৬
শেয়ার :
রিমান্ড শেষে রিজভী-পরোয়ারসহ ৬ জন কারাগারে

রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে নাশকতার মামলায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৬ জনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন সিএমএম আদালত।  আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম এই আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. আমিনুল হক, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম।

গত ১ আগস্ট আসামিদের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া।

গত ২৮ জুলাই কাফরুল থানাধীন কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে নাশকতার মামলায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ ৮ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।  তবে আজকে নুরুল হক নুর ও মাহমুদুস সালেহিন বাদে অন্য আসামিদের বনানী থানার মামলায় এই রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

গত ১৮ জুলাই সেতু ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সেতু ভবনের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন।

জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন।  চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।  পরে তারা ভবনে হামলা, ভাঙচুর করে।  সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, ৭টি মাইক্রোবাস, একটি মিনিবাস, ৫টি মোটরসাইকেল, একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিলে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়।