হত্যা ও সহিংসতার দায় যাদের ওপর চাপাল আওয়ামী লীগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ও আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আজ তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। হতাহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এসব সহিংসতা ও মৃত্যুর দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বের ওপর চাপিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আজ রবিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন নানক।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার পতনের এই আন্দোলন ছাত্র সমাজের নয়। তথাকথিত সরকার পতনের এই এক দফা দাবি ক্ষমতালোভী বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রকারীদের।’ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ঘোষণাও দিয়েছেন নানক, ‘সরকার তাদের (আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের) যেকোনো বক্তব্য শোনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু ছাত্র সমাজের কাঁধের উপর বন্দুক রেখে সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র আপামর জনগণ মেনে নেবে না, মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
নানক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এরইমধ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায়-রাজপথে কঠিন প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও সকল হত্যা-সহিংসতার দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, আজ থেকে শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি। এর সমর্থনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। দিনব্যাপী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। সরকার পতনের এক দফা এই কর্মসূচিতে এখনো পর্যন্ত পুলিশসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৭১ জন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?