কোটা আন্দোলন ঘিরে আলোচনায় যেসব গান

বিনোদন প্রতিবেদক
০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৫৯
শেয়ার :
কোটা আন্দোলন ঘিরে আলোচনায় যেসব গান

দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য রচিত হয়েছে অসংখ্য গান। আর সেই গানে উদ্দীপনা পেয়েছিল দেশের মানুষ। সংগীত কীভাবে মুক্তিকামী মানুষের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ ১৯৭১। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রচারিত গানগুলো মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রেরণা যুগিয়েছে।

সময় বদলেছে, এসেছে ২০২৪ সাল। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর আরও একবার সে কথা নতুনভাবে উঠে এল। চলমান শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ হয়েছে অসংখ্য প্রতিবাদী গান। যা লাখো জনতাকে ঘর থেকে রাজপথে নামিয়েছে। শুধু তাই নয়, জুগিয়েছে সাহসও।

সেসব গানের শিল্পী, গীতিকবি, সুরকার, সংগীতায়োজক তারকা নাকি আনকোরা কেউ- সেই প্রশ্ন এখন মুখ্য নয়। গানগুলো যে কোটি হৃদয়ে আওয়াজ তুলতে সক্ষম হয়েছে, সেটাই সার্থকতা। গানগুলো এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফেসবুক ও ইউটিউব। তেমনটি কিছু গানের কথা তুলে ধরা হলো-  

অনিক সূত্রধরের ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার, রাজাকার’ ও ‘বাজান আমার হয়ে গেছে লাশ’, র‌্যাপার হান্নানের ‘আওয়াজ উডা’, সেজানের ‘কথা ক’, ‘চব্বিশের গেরিলা’, পারসা মাহজাবীনের গাওয়া ‘চলো ভুলে যাই’, কোল্ডক্রাফটের ‘বায়ান্ন’, অ্যাজ অমিক্সে ‘রক্ত’, ম্যাক-ই-ম্যাক ও জিকে কিবরিয়ার ‘স্লোগান’ আর ‘ইনকিলাব’, সিয়াম ফারদিনের ‘আবু সাঈদ’, নাহিদ হাসানের ‘জবাব দেনা’, রেভ্যুলেশন ইন মোশনের ‘পাল্টে দে ইতিহাস’, ভয়েস অব রেভ্যুলেশনের ‘রাজাকার’, লুনাটিক্স বীর ও রিদমাস্ত্রের ‘দেশ কার’ ইত্যাদি গানগুলো এখন চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছে।

এদিকে, শুরু থেকেই রাজপথে আওয়াজ তুলে যাচ্ছেন কণ্ঠশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। যিনি বহু বছর ধরেই গানে গানে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছেন। শহীদ আবু সাঈদ ও ফাইয়াজদের নিয়ে গাওয়া তার নতুন গানটি শুনে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। তার পুরোনো গানগুলোও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে নতুনভাবে।

এছাড়াও তাসরিফ খানের ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ গানটিও এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। মাকসুদ ও ঢাকার ব্যান্ডের ‘আবার যুদ্ধে যেতে হবে’, আর্কের ‘আর কত মৃত্যু’, ওয়ারফেজের ‘জনস্রোত’ গানগুলো এখন প্রতিবাদের অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।