আইনজীবী মানজুর জামায়াতের প্রয়াত শীর্ষ নেতাদের আত্মীয়, দাবিটি ভুয়া
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও একটি বেসকারকারি টিভি চ্যানেলের সংবাদ উপস্থাপক মানজুর আল মতিনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত শীর্ষ নেতাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে দাবি করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব যাচাই করে দাবিটি ভুয়া বলে জানিয়েছে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারীর মুক্তি ও শিক্ষার্থীদের দিকে গুলি ছোড়া বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি। এ ছাড়া আইনজীবী মানজুর ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের পক্ষে নানা পোস্ট দিচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমেও তিনি শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলছেন।
ডিসমিসল্যাব, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজসহ সরকারি দলের বিভিন্ন সমর্থক ও নেতাদের প্রোফাইল থেকে ছড়ানো একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজা আসমা খাতুন আইনজীবী মানজুরের নানি। তার মামা ও খালুর সঙ্গে জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামীর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তবে ডিসমিসল্যাব যাচাই করে দেখতে পেয়েছে, তিনটি দাবিই মিথ্যা এবং পোস্টগুলোতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে মানজুরের কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই।
ডিসমিসল্যাব মানজুর ও তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ করে দেখেছে, মানজুরের নানির নাম মাহবুবুন্নেসা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এদিকে, আসমা খাতুনের সন্তানদের একজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে ডিসমিসল্যাব। তিনিও নিশ্চিত করেন যে মানজুর তাদের আত্মীয় নন। মানজুর নামে তাদের পরিবারে একজন সদস্য আছেন, তবে তবে তিনি মানজুর আল মতিন নন।
আবার ফেসবুকের ওই সব পোস্টে দাবি করা হয়, মানজুরের মামার নাম সাইফুল্লাহ মানসুর। তবে ডিসমিসল্যাব যাচাই করে দেখেছে, মানজুরের ছোট মামার নাম মনসুরুল খান, সাইফুল্লাহ মানসুর নামে তার কোনো মামা নেই।
সাইফুল্লাহ মানসুর আসমা খাতুনের ছেলে এবং মতিউর রহমান নিজামীর জামাতা। যোগাযোগ করা হলে সাইফুল্লাহ মানসুর নিজেই ডিসমিসল্যাবকে বলেন, মানজুরের সঙ্গে তার পরিবারের আত্মীয়তার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তিনি মানুজরের মামা নন।