কারাবন্দী আখতারের দেখা পাচ্ছেন না স্বজনরা, দিতে পারছেন না ওষুধও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে আটক গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না স্বজনরা। গ্রেপ্তারে আগে থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাকে জরুরি ওষুধও পৌঁছাতে পাচ্ছেন না তারা। আজ শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে আখতার হোসেনের স্ত্রী সানজিদা আখতার এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে সানজিদা আখতার বলেন, ‘গত ১৭ জুলাই দুপুর তিনটায় আমার স্বামী ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক, ঢাকা জজকোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী আখতার হোসেনকে বিনা ওয়ারেন্টে, কোনো অভিযোগ ছাড়াই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে পুলিশ জবরদস্তিমূলকভাবে তুলে নেয়। তখন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। পরের দিন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সম্পূর্ণ অন্যায্যভাবে তাকে ২ দিন রিমান্ডে পাঠান আদালত। আমরা তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।’
আখতারের স্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে ১৫ দিন আমরা তার (আখতার হোসেন) সঙ্গে দেখা করতে পারছি না। দেখা করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বারবার দেখা করতে চেয়ে দেখা করতে পারিনি। তিনি কীভাবে আছেন, সুস্থ আছেন কি না, তার কিছুই জানা যাচ্ছে না। এমনকি জরুরি ওষুধও তাকে পৌঁছাতে পারছি না। গ্রেপ্তারে আগে থেকেই তিনি অসুস্থ। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় তার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইরের দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। যা কারা আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। কারাগারে নয়, যেন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে আখতার হোসেনকে। গত ১৫ দিনে তিনি ফোনকল করেননি একবারের জন্যও। অথচ, ন্যূনতম ফোনকলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারা প্রত্যেক বন্দীর অধিকার। আমার স্বামী, আখতার হোসেনকে সেই অধিকারটুকুও দেওয়া হচ্ছে না।’
সানজিদা আখতার বলেন, ‘আমাদের বিয়ের এক বছরও পূর্ণ হয়নি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। আখতার হোসেন আমার একমাত্র সম্বল। আমি তার মুক্তি চাই। আপনারা তাকে আমার কাছে সহি-সালামতে ফিরিয়ে দিন। আমরা শুনতে পাচ্ছি তাকে জেলে ২৪ ঘণ্টা লকাপে বন্দী করে রাখা হচ্ছে। আখতার হোসেন অসুস্থ। তার বাইরে হাঁটা-চলা শারীরিক ভারসাম্যের জন্য জরুরি। কোনো বন্দীকে এভাবে ২৪ ঘণ্টা নির্দিষ্ট কক্ষে আটকে রাখা বেআইনি এবং বৈষম্যমূলক।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?