জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ায় নৌপ্রতিমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে জামায়াত-শিবির সরাসরি বিপক্ষে ছিল। জড়িত ছিল বলেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধে যারা যুক্ত ছিলো দালাল আইনে তাদের বিচার হচ্ছিল। জামায়াত নিষিদ্ধ করা হচ্ছিল এবং যারা অপরাধ করেছিল তাদের বিচারও হচ্ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় একজনের ফাঁসি পর্যন্ত হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক হত্যার পরে জিয়াউর রহমান সরকার গঠন করার পর এই দালাল আইন বাতিল করা হয় এবং তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার আমাদের সময় থেকে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তাদেরকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তাদের রাজনীতির ক্ষমতা অনেক বিস্তৃত হয়েছে। দেশের মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার হীন প্রচেষ্ঠা তারা দীর্ঘদিন ধরে চালাচ্ছে। এই প্রচেষ্ঠার অংশ হিসেবে শাহ-আজীজ, শাকা চৌধুরী, মান্নান এদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ একটা মর্যাদার জায়গায় গেছে। আত্ম-সম্মান বেড়েছে। বাংলাদেশের শতভাগ শিশুরা আজ স্কুলে যায়, দেশে খাদ্যের নিশ্চয়তা আছে, মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়িত হয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে তথা উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় পড়ে মানুষ স্বাধীনতার সুফল পেতে শুরু করেছে। ঠিক এই জায়গা চিহ্নিত করে বাংলাদেশের অর্থনীতি, মর্যাদা ভূ-লুণ্ঠিত করার জন্য তারা ধারাবাহিকভাবে ধ্বংসযজ্ঞ করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, মানুষকে হত্যা করে উলঙ্গ করে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাদের এই পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের রগকাটা, হাত কেটে নেওয়া, মাথা কেটে নেওয়ার রাজনীতি শিবির দারাই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। তারা আবদুর রহমান, বাংলা ভাই তৈরি করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজ সরকার যে সিদ্ধান্ত নিলো তাকে সমগ্র দেশের মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন মানুষ হিসেবে আমি স্বাগত জানাই। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পাওয়া আমাদের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে স্বাধীনতার এত বছর পরে তারা যে আবার নিষিদ্ধ হলো এটা একটা ভালো সংবাদ এবং অপরাধ করলে যে কেউ পার পায় না।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি বলেন, এদের অর্থনৈতিক শক্তি আছে, একটা ভিত্তি তৈরি হয়েছে, একটা জনবল তৈরি করেছে। তারা যদি এখন আইনের প্রতি চ্যালেঞ্জ করে তাহলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন দিয়ে তা মোকাবিলা করা হবে। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবিলা করবে। বাংলাদেশ সরকার যেভাবে জঙ্গি দমন করেছে সেভাবেই মোকাবিলা করবে।