শাফিনের চিরবিদায়ে এসেছিলেন যারা
কফিনে মোড়া নিথর দেহের শাফিন আহমেদকে দেখে কেউ মানতে পারছিলেন না তার এভাবে আকস্মিক চলে যাওয়া।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল মেঘলা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছিল। গুলশানের মসজিদে মরদেহ যখন পৌঁছায়, তখনও বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শাফিনকে শেষবিদায় জানাতে আজাদ মসজিদে জড়ো হতে থাকেন সংগীতাঙ্গনের অনুজ, অগ্রজ শিল্পীসহ অন্যান্য কলাকুশলীরা। শাফিনকে দেখে অনেকেই নিজেদের কান্না ধরে রাখতে পারেননি।
শাফিন আহমেদের শেষবিদায়ে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে একে একে হাজির হন তার ব্যান্ড মাইলসের সব সদস্যরা। এছাড়াও ছিলেন ফোয়াদ নাসের বাবু, মাকসুদ, নকীব খান, পিলু খান, শুভ্র দেব, প্রিন্স মাহমুদ, শেখ মনিরুল আলম টিপু, কমল, ফেরদৌস বাপ্পী, কবির বকুল, লতিফুল ইসলাম শিবলী, আসিফ ইকবাল, শওকত আলী ইমন, পলাশ, আঁখি আলমগীর, কৌশিক হোসেন তাপস, শাহীন সামাদ, কানিজ সুবর্ণা, রমা, সুজন আরিফ, মুহিন, মিফতাহ জামান, সৈয়দ শহীদ, অদিত, জয় শাহরিয়ার, এস আই টুটুল, বাপ্পা মজুমদার, পার্থ বড়ুয়া প্রমুখ।
ছবি: সংগৃহীত
শাফিনের মরদেহ দেখতে আসা স্বজন ও সহকর্মীরা একটা কথাই বলছিলেন, এমন তো কোনও বয়স ছিল না শাফিন আহমেদের। যেভাবে সংগীতাঙ্গনের মেধাবীরা বিদায় নিচ্ছেন, তাতে তো বিরাট শূন্যতা তৈরি হচ্ছে এ অঙ্গনে।
গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে শাফিনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। তিনটার দিকে বাবার কবরে সমাহিত করা হয় শাফিনকে। শাফিন আহমেদের কবরের পাশেই মা কিংবদন্তি নজরুলশিল্পী ফিরোজা বেগম শায়িত আছেন।
ছবি: সংগৃহীত
পরিবারের পক্ষ থেকে শাফিন আহমেদের কুলখানির খবর জানানো হয়েছে। শাফিনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর বনানী কবরস্থানের পাশে গুলশান কমিউনিটি মসজিদে তার কুলখানি হবে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
শাফিন আহমেদের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা...এ অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’