ভিপিএন ব্যবহার নিয়ে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী পলক

অনলাইন ডেস্ক
৩০ জুলাই ২০২৪, ২১:৫২
শেয়ার :
ভিপিএন ব্যবহার নিয়ে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী পলক

ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার সাইবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ‍জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিপিএন ব্যবহারে সাইবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। লাইসেন্সবিহীন পাইরেটেড সফওয়্যার ব্যবহার না করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হলে তা আইসিটি বিভাগকে জানাতে হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, টেলিকম, ব্যাংক ও তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে আছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মদদে দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো রয়েছে, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলোর যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।’

সরকার পক্ষ থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ইউটিউবকে যে তলব করা হয়েছিল, টিকটক ছাড়া কোনো কোম্পানিই তাতে সাড়া দেয়নি বলেও জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত আমরা ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটককে একটা টাইম (সময়) দিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম যে তারা লিখিত ব্যাখ্যাটা দেবে, কিন্তু আমরা এখনো তাদের লিখিত বা মৌখিক ব্যাখ্যা পাইনি।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘টিকটক ই-মেইলে একটা রিপ্লাই দিয়েছে যে, তারা এ নিয়ে খুব আন্তরিক। সরকারকে সহযোগিতা করতে চান, তারা ব্যাখ্যাগুলোও দিতে চান। বাকি দুটি অর্থাৎ মেটা ও ইউটিউবের সাড়া পাইনি।’

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বুধবার সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা ১১টায় আমরা পর্যায়ক্রমে তিনটি মাধ্যমের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলাম। ৯টায় টিকটক, ১০টায় ইউটিউব ও ১১টায় ফেসবুক বা মেটা। আজ পর্যন্ত তারা কিছু বলেননি। তবে এখনো সময় আছে। বেঁধে দেওয়া সময় পর্যন্ত দেখি। তারা কী ব্যাখ্যাটা দেন।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংক, সিভিল অ্যাভিয়েশন, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর প্রতিনিধিরা।