তারকাদের বন্ধু
বাল্যবন্ধু সাইদুর : জাহিদ হাসান
সাইদুর রহমান। ডাক নাম বাচ্চু। আমি ওকে ডাকি ‘বাল্য’ বলে। ও আমাকে একই নামে ডাকে। ছোটবেলার আমার যাবতীয় দুষ্টুমি, আনন্দসহ সবকিছুর সঙ্গী ছিল এই বাল্য। ছোটবেলার সেই আবেগ আমরা বড় হয়েও ধারণ করে চলেছি। এখনো আমরা ভালো বন্ধু। আমি সিরাজগঞ্জ গেলেই বন্ধু চলে আসে। ওর যত ব্যস্ততাই থাকুক, আমাকে সময় দেয়।
ফেরদৌস-শাবনূর ভালো বন্ধু : রিয়াজ
বন্ধু এমন একজন মানুষ; যার সঙ্গে সব কথা শেয়ার করা যায়। যার সঙ্গে কোনো পারসোনাল হিসাব-নিকাশ থাকে না। তার সঙ্গে সময় কাটলে ভালো লাগে। যেটার মধ্যে কোনো রকম চাওয়া-পাওয়ার কোনো সম্পর্ক থাকে না। মিডিয়া ক্যারিয়ারে চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও শাবনূর আমার ভালো বন্ধু। এছাড়া শৈশবের অনেক বন্ধু রয়েছে। সহপাঠীরাও আছে। আমার শৈশব কেটেছে ফরিদপুরে। বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি করে এবং গাছে চড়ে অনেক মধুর সময় পার করেছি। সেই দিনগুলোকে খুব মিস করি এখন। আবার ফিরে যেতে মন চায় সেই শৈশবে। শৈশবে বন্ধুদের সঙ্গে নানা স্মৃতি ভাবতে খুব ভালো লাগে।
তরুণের গল্পটা একটু আলাদা : চঞ্চল
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় আমরা যারা গ্রাম থেকে এসে ভর্তি হয়েছিলাম, তারা একসঙ্গে থাকতাম। তো এ রকম আমরা ছিলাম পাঁচজন। আমি, চন্দ্রজিৎ, তরুণ, মিথুন ও জাহিদ। এর মধ্যে তরুণের গল্পটা একটু আলাদা। আমার পরীক্ষার সময়, বিশেষ করে থিওরি পরীক্ষার সময় আমি হলে থাকতাম। তরুণের রুমে। আমরা ওই পাঁচজন মিলে ওর রুমে নোট লিখতাম। মধ্যরাতে যেতাম চানখাঁরপুলে ডিম-পরোটা খেতে। তরুণের সঙ্গে আমার চুক্তি ছিল, আমি ওর হলে বা চানখাঁরপুলে যেখানেই খাই, আমার খাবারের বিল দেবে তরুণ। বিনিময়ে শুক্রবার আমার বাসা তিলপাপাড়ায় গিয়ে থাকবে এবং খাবে। ওখানে আমরা ব্যাচেলররা থাকতাম। কিন্তু শুক্রবার আমার ভাই ও বোনরা আসতেন। ভালো ভালো রান্না হতো ওই সময়। আমি তরুণকে মজা করে বলতাম, ‘তোর ১২ টাকার খাবারের সঙ্গে এইটা কেমনে মেলাবি। এটার দাম তো অনেক।’
সজলের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব : মিম
যে মানুষটি সব সময় আমার পাশে থাকবে, আমাকে সাপোর্ট দেবে, যে সব সময় হাত ধরে থাকবে আমি সেটাকেই ফ্রেন্ডশিপ বলি। মিডিয়ায় কাজ করতে গিয়ে অভিনেতা সজলের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে। আমরা এত ব্যস্ত থাকি যে, মিডিয়ায় আমাদের বেশি বন্ধুত্ব হয় না। আমার শৈশব কেটেছে কুমিল্লা ও ভোলায়। সেখানে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। কুমিল্লায় মনীষা আমার ভালো বন্ধু। ওকে খুব মিস করি। বুশরাকে খুব মনে পড়ে।
১০ বছর পর ফেসবুকে খুঁজে পাই
আরও পড়ুন:
ফের জুটি হলেন মম-শ্যামল
লাহেজাকে : মেহজাবীন
আমি তখন ওমানে ভারতীয় ¯ু‹ল সোহারে পড়াশোনা করি। চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি মনে হয়। আমাদের ক্লাসে এসে ভর্তি হয় যুক্তি লাহেজা নামের একটি মেয়ে। ওর বাড়ি ভারতের মধ্যপ্রদেশে। তখন ওর সঙ্গে আমার টুকটাক কথা হতো, গল্প হতো, এতটুকুই। তারপর দেশে এসে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার হয়ে কাজ শুরু করি। ফেসবুকও তখন ছিল না। ভুলেই গিয়েছিলাম লাহেজাকে। কিন্তু বন্ধুত্বের টান আমাকে ভুলতে দেয়নি। প্রায় ১০ বছর পর ফেসবুকে খুঁজে পাই লাহেজাকে। তারপর নতুন করে যোগাযোগ হয়। এখন আমরা প্রচুর গল্প করি। আমার যে কোনো খারাপ লাগা, ভালো লাগা ওর সঙ্গে শেয়ার করি।
কাছের বন্ধু
সাফা, তৌসিফ ও সিয়াম : টয়া
আরও পড়ুন:
মারা গেলেন পরীমনির নানা
বন্ধুত্বের জায়গাটা নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জায়গা। কাছের বন্ধু মানে পরিবার। আসল বন্ধু বিপদে এগিয়ে আসে। মানুষের জীবনে একজন হেল্পফুল বন্ধু খুবই দরকার। সে মানুষটা পরিবারেরও হতে পারে, আবার পরিবারের বাইরেরও হতে পারে। মিডিয়ায় আমার কাছের বন্ধু সাফা কবির, তৌসিফ মাহবুব ও সিয়াম আহমেদ। আমাদের একটা আলাদা জগৎ আছে। একে অন্যকে খুব মিস করি। সিয়ামের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভালো। মিডিয়ায় অনেক মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে তবে এই তিনজনের জায়গা কেউ নিতে পারেনি, আর পারবেও না।