কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি /
আজ গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন
আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তিসহ ৩ দাবি মেনে নেওয়া না হলে ‘বাংলা ব্লকেডের’ চেয়েও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
গতকাল শনিবার রাতে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে গণহত্যা চালাচ্ছে সরকার। এখন পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে। চলমান গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের দাবিও জানান তিনি।
মাসউদ আরও বলেন, ‘আমরা তিনটি বিষয় স্পষ্ট করছি। এর আগে ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির পর সেটি ৬ বছরও টেকেনি। তাই পরিপত্র-পরিপত্র খেলা বন্ধ করে স্টেকহোল্ডারদের, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি স্বাধীন স্থায়ী কমিশন গঠন ও কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আইন পাস করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘পুলিশ কনস্টেবল থেকে মন্ত্রী- যতজন শিক্ষার্থী হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। যতজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তাদের মামলা প্রত্যাহার করে গুম ও আটক শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে ‘বাংলা ব্লকেডের’ চেয়েও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা আর ঘরে বসে থাকবো না। রাস্তায় নেমে আসবো।’
এ সমন্বয়ক দাবি করেন, সাড়ে ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। কয়েকজন সমন্বয়ককে চিকিৎসারত অবস্থায় তুলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
সম্মেলনে তারা বলেন, এক বাজে অবস্থায় আমরা আপনাদের সামনে এসেছি।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এ সময় বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরে নিহত ও আহতদের বর্ণনা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ‘র্যাব হেলিকাপ্টার দিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়েছে’ বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও যুক্ত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশীদ। এ সময় আজ রবিবার সারাদেশের দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন কর্মসূচি করারও ঘোষণা দেন তারা।