গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই : মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুলাই ২০২৪, ২০:২১
শেয়ার :
গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই : মেয়র তাপস

গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নাশকতা ও সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেগুনবাগিচা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রে স্বাধীনতা বিরোধী দুষ্কৃতিকারীদের সাম্প্রতিক তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্তব্য করেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, বিএনপি-জামায়াত চক্র ধ্বংসলীলা চালিয়ে, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করেছে। যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তারা দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। তাদেরকে ঢাকাবাসী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। তারা গণতান্ত্রিক ধারা ভূলুণ্ঠিত করে সন্ত্রাসের পথ বেঁছে নিয়েছে। তাদেরকে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানাই।’

নাশকতার ধারা অব্যাহত রাখলে ভবিষ্যতে সহিংসতাকারী ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারীদেরকে নির্মূল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে। যে কারণে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। যার ফলে মেহনতি মানুষ, দিনমজুর, সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তাই, সাধারণ মানুষের কষ্ট নিবারণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।’

সকল অশুভ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার ঘোষণা দিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রতিহত করতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়ে আইসিউতে আছেন। তারা ট্রেনিং দিয়ে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে ঢাকায় জড়ো করেছে। কিন্তু আমরা পরাজিত হইনি। আমরা সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করেছি। অচিরেই এদের খুঁজে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’

২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীতে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল ও ১ কেজি লবণ রয়েছে।