অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী গুলিতে নিহত

বিনোদন ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০২৪, ১৪:২২
শেয়ার :
অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী গুলিতে নিহত

কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নানা স্থান থেকে মানুষের জান-মালের ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে। এতোদিন শোবিজের কারও ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও এবার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আলামিনের গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে । তার গায়ে দুটি গুলি লেগেছে বলে জানা যায়।

খবরটি অভিনেত্রী নিজেই মঙ্গলবার রাতে তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন। তবে কবে কিভাবে ঘটনাটি ঘটেছে এবং এখন তার সহকারীর বর্তমান অবস্থা কেমন, এসব বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু জানাননি।

সারাদেশে টানা কয়েকদিন ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে তিশা খবরটি সবাইকে জানাতে পারেননি। গতকাল কিছুটা সময়ের জন্য ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তার সহকারী আলামিনের সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করে খবরটি জানিয়েছেন।

তিশা তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তথ্যটি নিশ্চিত করেন

তানজিন তিশা লিখেছেন, ‘কিভাবে শুরু করব জানি না। আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চিনেন। কিন্তু ও কিন্তু আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট না, আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সাথেই থাকে আমার ফ্যামিলিতেই থাকে। আপু কি লাগবে, আপু কি খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো সব কিছু এই ছেলেটাই জানতো আর দেখত।’

তিশা আরও লিখেছেন, ‘আলামিন, সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মত আমার পাশে বসে থাকতো। আমার কত প্ল্যান ওকে নিয়ে। ওকে ড্রাইভিং শেখাবো, জোর করে বলতাম পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে, পরীক্ষাটা দিতে। অনেকে অনেক কিছু বলতো কিন্তু দুনিয়ার সাথে যুদ্ধ করে ও আপুর কাছে এসে বসে থাকতো। ঈদের দিনগুলোও আগে আমার সাথে থাকত, তারপর ওর ফ্যামিলির সাথে। কত বকা দিয়েছি, মন খারাপও করে থাকতো আবার একটু পর ঠিকই বুঝাতাম। একটা না দুই দুইটা গুলি কি করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা?’

তিনি আক্ষেপ করে লেখেন, ‘আলামিন কোন দল অথবা কোনও কিছুর সাথে জড়িত ছিলো না। ওর বিগত ৪ বছর জীবনটা আমার সাথে, আমার কাজের এবং আমার পরিবারের সাথেই কেটেছে। ওর জীবনে কোন পাপ নাই, খুব ছোট একটা মানুষ এই চার বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন সবাই আল্লাহর কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।’

আলামিন কোথায়, কখন কীভাবে গুলিতে নিহত হয়েছে, সে ব্যাপারে ফেসবুক পোস্টে কিছুই উল্লেখ করেননি তানজিন তিশা। এ বিষয়ে জানতে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে খুদে বার্তা ও একাধিকবার কল করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তানজিন তিশার ঘনিষ্ঠ পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সহকারীর মৃত্যুর পর তিশা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। হয়তো এ কারণে ফোন রিসিভ করছেন না। তবে ঘটনা সত্য। শুনেছি, শুক্রবার বিকেলে উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় আল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। শনিবার সকালে তিশা আমাকে ফোন দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এ খবর জানায়। ওর মনটা খারাপ।’