বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর কমলা হ্যারিসের চমক
নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে এবার কমলা হ্য়ারিস।
গত বেশ কয়েকসপ্তাহ ধরেই ডেমোক্রেট নেতারা বাইডেনের সরে দাঁড়ানো উচিত বলে সওয়াল করছিলেন। সেই পরিস্থিতির মধ্যে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন।
তার পদত্য়াগের পর কমলা হ্য়ারিস একটি বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে পারার জন্য় বাইডেনকে তিনি সাধুবাদ জানান। বাইডেনের এই পদক্ষেপকে তিনি দেশপ্রেমের সঙ্গে তুলনা করেছেন। একইসঙ্গে হ্য়ারিস জানিয়েছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে তার দল তাকে চিহ্নিত করেছে। তিনি ট্রাম্পকে হারিয়ে সেই আস্থার প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন করবেন।
ইতিমধ্যে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে শুরু করেছেন কমলা হ্যারিস।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস নির্বাচনী লড়াইয়ে উতরে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি। তাকে নিয়ে বড় আশা দেখছেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
ডেমোক্রেটিক পার্টির চাঁদাদাতারাও কমলাকে নিয়ে আশাবাদী। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে নির্বাচনী প্রচার তহবিলে তাদের দেওয়া অর্থের পরিমাণ থেকে। বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর কমলার প্রচারশিবিরের জন্য ২৪ ঘণ্টায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার দিয়েছেন তারা।
ডেমোক্র্যাট শিবির বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে এর আগে কখনো এক দিনে এত অর্থ সংগৃহীত হয়নি। আর এই অর্থদাতাদের মধ্যে ৮ লাখ ৮৮ হাজার জন তৃণমূলের নেতা–কর্মী রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, কমলা হ্যারিস এরই মধ্যে দলের প্রায় ৪ হাজার ডেলিগেটের মধ্যে ১ হাজার ৯৭৬ জনের সমর্থন পেয়েছেন। দলের জাতীয় সম্মেলনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হতে এই সমর্থনই যথেষ্ট।
গত ২৭ জুন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রিপাবলিকান প্রার্থী এবং তার (জো বাইডেনের) প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি ডিবেট বা বিতর্ক অনুষ্ঠানে জো বাইডেনের ‘হতাশাজনক পারফর্ম্যান্সের’ পর প্রার্থী হিসাবে নিজেকে প্রত্যাহার করার জন্য তার উপর চাপ বাড়ছিল।
তাও তিনি পুনর্নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়াবেন না সে বিষয়ে প্রচার শিবির থেকে অবশ্য ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। তার এই সিদ্ধান্তে আবার ডেমোক্রেটদের অন্দরমহলের অনেকেই খুশি ছিলেন না।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
একে কেন্দ্র করে মার্কিন রাজনীতিতে সম্প্রতি একটা টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা সেই পরিস্থিতির সমাপ্তি ঘটিয়েছে।