অধিনায়কত্ব যখন শান্তর মাথাব্যথা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
২৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
অধিনায়কত্ব যখন শান্তর মাথাব্যথা

নাজমুল হোসেন শান্ত ছন্দে নেই। তার ব্যাটিং নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সবাই। অধিনায়ক শান্ত সফল। তবে ব্যাটিংয়ে তিনি ভালো করতে পারছেন না। খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, শান্ত ব্যাটিংয়ে ছন্দে না থাকার কারণ অধিনায়কত্ব।

আগামী মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্টের সিরিজ। ১৭ আগস্ট দেশ ছাড়বেন ক্রিকেটাররা। শান্ত ছুটি কাটিয়ে মিরপুরে ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ শেষে ক্রিকেটাররা ছুটিতে রয়েছেন।

শান্তর ব্যাটিং নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘শান্তর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমার মনে হচ্ছে সে দলের চিন্তায় ব্যাটিংটা সেভাবে করতে পারছে না। আমি তাকে বলেছি যে দলের আরও দশজন ব্যাটসম্যান আছে। তুমি তোমার মতো খেল। তুমি যখন ব্যাট করবে তখন তুমি শুধু ব্যাটসম্যান। তোমার অন্য চিন্তার দরকার নেই।’ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সব ফরম্যাটের অধিনায়ক হন শান্ত। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনিই অধিনায়ক থাকবেন। ক্রিকেট অপারেশন্স জালাল ইউনুস বলেছিলেন, শান্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়লে তাসকিন আহমেদ দায়িত্ব নিতে পারেন।

সুজন মনে করেন, শান্তর ফর্মহীনতা টেকনিকের জন্য নয়। সুজন বলেন, ‘শান্ত দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। তার টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা নেই। আমার কাছে মনে হয় অধিনায়কত্ব সে চাপ হিসেবে নিয়ে ফেলেছে। এ জন্যই এমন হচ্ছে। আমি তাকে বলেছি এ ব্যাপারে। আশা করি সে সামনে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সুপার এইটে কোয়ালিফাই করে। শান্তর সমালোচনা হয় সে সময়। আফগানিস্তানের ম্যাচটি ১২.১ ওভারে জিতলে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে যেতে পারত। শান্ত তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক। সামনে হয়তো একটি ফরম্যাটে তাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

রাওয়ালপিন্ডিতে ২১ আগস্ট থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এরপর করাচিতে ৩০ আগস্ট থেকে মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। কারফিউয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি সেভাবে হচ্ছে না। কারফিউ শেষ হলে অনুশীলনে ফিরবেন টাইগাররা। শান্ত পাকিস্তান সফর নিয়ে বেশ আশাবাদী। কারফিউয়ের জন্য প্র্যাকটিস ম্যাচ হবে না। পাকিস্তানের টেস্ট সিরিজ কঠিন হবে মনে করেন শান্ত, ‘অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। তারা (পাকিস্তান) খুবই ভালো দল; কিন্তু এই ফরম্যাটে আমাদের বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন। আমি যদি নাম বলি- মুশফিক ভাই, মুমিনুল ভাইসহ আরও বেশ কিছু খেলোয়াড় আছেন। আমরা যদি আমাদের ওই অভিজ্ঞতাটা দেখাতে পারি, ওই শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলতে পারি; অবশ্যই এই সিরিজটা ভালো হবে।’

শান্ত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান। তার রানে ফেরাটা বেশ জরুরি। কোচ চ-িকা হাথুরুসিংহের সঙ্গেও তার রসায়নটা ভালো। তিনি রানে ফিরলে সেটা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হবে। পাকিস্তানের কন্ডিশন সহজ হবে না। এ ছাড়া পাকিস্তানের বিশ^মানের সব বোলার। এই সফর বড় চ্যালেঞ্জ হবে বাংলাদেশের জন্য।