ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের বাস যোগাযোগ বন্ধ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এই পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। অন্যান্য জেলা থেকেও কোনো বাস আসছে না।
'শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের হামলা, ছাত্রলীগের হামলা, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে' আজ কমপ্লিট শাটডাউন পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া এই কর্মসূচি চলাকালে সব কিছু বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের বিভিন্ন কাউন্টারের স্টাফ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ পাপ্পু বলেন, 'টার্মিনালে যাত্রীর সংখ্যা খুব কম থাকায় আমরা বাস ছাড়িনি।'
যাত্রী না থাকায় টার্মিনালের প্রায় সব টিকিট কাউন্টার ফাঁকা। অনেক বাস কাউন্টার বন্ধ দেখা গেছে। বাস না ছাড়ার প্রসঙ্গে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মীর শওকত হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে একজন যাত্রীও টিকিট কিনতে আসেননি।‘
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ কাওসার জানান, সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় তাদের বাস খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে আজ কোনও বাস ঢাকা ছেড়ে যায়নি।
ইউনিক পরিবহনের কর্মী মো. সোহরাব জানান, তাদের বাসগুলো চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় চলাচল করে। তবে বাস মালিকের নির্দেশে আজ রাস্তায় কোনও বাস চলাচল করছে না।'সিটি বন্ধন পরিবহনের সুপারভাইজার মো. জুয়েল জানিয়েছেন, গত রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারের সংঘর্ষের পর থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোর থেকে সব টিকিট কাউন্টার বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচলও প্রায় বন্ধ রয়েছে। ময়মনসিংহ বাসস্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিক হারুন মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, সকাল থেকে কয়েকটি লোকাল বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
দেশজুড়ে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে সকাল থেকে টার্মিনালে আসা বেশ কয়েকজন যাত্রীদের বাস না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?