যাদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে যারা হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে তাদের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নেই। সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহিৃত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, যারা এই হত্যা সন্ত্রাস ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিল তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সেই ব্যবস্থা করব। হত্যা ও অনভিপ্রেত যে সকল ঘটনা ঘটেছে তা সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সরকারপ্রধান বলেন, কাদের উস্কানিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো, কারা কোন উদ্দেশ্যে একটি দেশকে অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিলো, তা তদন্ত করে বের করা হবে।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসীরা সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢুকে তাদের ক্ষতি সাধন করতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, পিতামাতা ও শিক্ষকদের তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি যারা হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনজন হারানোর কষ্ট আমার চেয়ে আর কে জানে। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আমি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যা ঘটেছে তা কাম্য ছিল না।
যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, আমি প্রতিটি হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই। যে সকল ঘটনা ঘটেছে তা কখনোই কাম্য ছিল না।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের ছুড়ে ফেলা হয়েছে। অনেকের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়।