নিহতদের পরিবারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে ছাত্রসমাজের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বাতিল করে একটা পরিপত্র জারি করে। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কোটা বহাল রাখার পক্ষে উচ্চ আদালত ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র বাতিল করে দেন। কোটা বাতিল করাপর জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হয় এবং মহামান্য আদালত শুনানির দিন ধার্য্য করেন। এ সময় ছাত্ররা কোটা সংস্কারের দাবিতে আবারও আন্দোলন করে।’
তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের শুরু থেকেই সরকার ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে। বরং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ সহযোগিতা করে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যখন আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি প্রদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে সেক্ষেত্রে তাদের সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাবিলাস চরিতার্থ করার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝড়ে গেল। আপনজন হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে?’
তিনি বলেন, ‘যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যে সব ঘটনা ঘটেছে তা কখনোই কাম্য ছিল না।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে। তাদের হতাশ হতে হবে না।’
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতকাল মঙ্গলবার সংঘর্ষে সারাদেশে ছয়জন নিহত হন। এরপর রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ছাড়ার নির্দেশের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা সারাদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ দিনভর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।