টেন মিনিট স্কুলের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
১৬ জুলাই ২০২৪, ১৬:০৭
শেয়ার :
টেন মিনিট স্কুলের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী

‘টেন মিনিট স্কুল’-এর ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার সকালে অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আইসিটি বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আজ সকালে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টেন মিনিট স্কুলের জন্য ৫ কোটি টাকার যে বিনিয়োগ প্রস্তাব ছিল, সেটা আজকে সকালে আমরা বাতিল করেছি। সেটাই আমরা জানিয়েছি।’

বিনিয়োগ বাতিলের কারণ জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমত হচ্ছে যে আমাদের যেহেতু এটা একটা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, আমাদের কিছু নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট থাকে। আমাদের কাছে শতশত আবেদন করে বিনিয়োগের জন্য। সেখান থেকে আমরা ৩৬টি কোম্পানিকে বিনিয়োগ করেছি ১২০ কোটি টাকার মতো। আরও প্রায় ৫০টির মতো কোম্পানি বিনিয়োগের প্রক্রিয়াধীন আছে। কিন্তু আমাদের আসলে চুক্তি থাকে, আমরা সেখানে বিনিয়োগ করি বা না করি, আমরা তাদের ভেতরে যে তথ্য উপাত্ত বা তাদের সঙ্গে যে নেগোসিয়েশন হয়, এটা আমরা কোথাও প্রকাশ করতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেই জায়গাতে আমাদের কিছু বিধি-নিষেধ আছে। কেন আমরা টেন মিনিট স্কুলের এই প্রস্তাবটি বাতিল করলাম, আমরা যদি ওদের কোনো নেগেটিভ বিষয় প্রকাশ করি, এটা তো অন্য বিনিয়োগকারীর কাছেও যাবে, অন্য বিনিয়োগকারীও আছে। কিংবা ভবিষ্যতে আরও যেতে পারে। তাহলে ‘কেন দিলাম না’— কারণটা যদি আমি প্রকাশ্যে বলি কিংবা প্রকাশ করি, এটা আসলে আমাদের নৈতিকভাবে এটা চুক্তির বরখেলাপে পড়ে যায়। সে কারণেই আমি বলব, বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার কারণটা আমরা কোনো বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে (প্রকাশ) করতে পারি না।’

আয়মান সাদিককে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।’

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন আয়মান সাদিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোতে রক্ত—এমন একটি গ্রাফিক্যাল ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন? প্রতিবাদ জানাই।’ অনেকেই ধারণা করছেন, সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।