ট্রাম্পকে বাঁচিয়েও প্রশ্নের মুখে সিক্রেট সার্ভিস
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাঁচিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশটির সিক্রেট সার্ভিস। প্রশ্ন উঠেছে, তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে ট্রাম্পের ওপর হামলা চালানো সম্ভব হলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গতকাল শনিবার পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে ট্রাম্প হামলার শিকার হন। বক্তব্য শুরুর পাঁচ মিনিট গুলির শব্দ শোনা যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা ট্রাম্পকে ঘিরে ফেলেন। তার কানে ও মুখের এক পাশে রক্ত দেখা গেছে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি এখন ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে। ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের র্যালিতে এমন ঘটনায় দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্নে মুখে পড়েছে সিক্রেট সার্বিস। যদিও ট্রাম্প এই সংস্থার সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন জানান, বিষয়টির পূর্ণ তদন্ত করা হবে। এক টুইটে তিনি জানান, মার্কিন জনগণের সত্যি ঘটনা জানার অধিকার রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
গুলিবর্ষণ করার আগে হামলাকারী বা তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানতো না যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। তারাও নিশ্চিত করেছে, গুলি না চালানো পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশের কাছাকাছি একটি ভবনের ছাদে অবস্থানরত হামলাকারী ব্যক্তি থাকার কথা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা জানতেন না।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গুলি চালানোর কয়েক মিনিট আগে তিনি পাশের একটি ভবনের ছাদে একজন ব্যক্তিকে দেখেছিলেন। তিনি ‘তিন থেকে চার মিনিট’ ধরে পুলিশকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ছাদের ঢালের কারণে তারা সম্ভবত বন্দুকধারীকে দেখতে পাননি।
যদিও হামলার পরপরই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলছেন এবং কেউ কেউ আবার এটিকে সিক্রেট সার্ভিসের ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস