নারীর মরদেহে কোপের ২৬ চিহ্ন, ছেলে গ্রেপ্তার
পিরোজপুরের নাজিরপুরে জুতিকা বালা (৫০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে জ্যোতিষ বালাকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নাজিরপুর থানা পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, মাকে কুপিয়ে হত্যার কথা শিকার করেছেন জ্যোতিষ বালা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ইনচার্জ রেজাউল করিম রাজিব প্রমুখ।
পুলিশ জানায়, নিহত জুতিকা বালা উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ণ বালার স্ত্রী। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রায় ১০ বছর ধরে নিজ ঘরেই থাকতেন। কারও সঙ্গে কোনো কথা বলতেন না। ছেলে জ্যোতিষ বালার স্ত্রী-সন্তান পৃথকভাবে থাকেন। এ জন্য তিনি পারিবারিক অশান্তি বোধ করে মাকে দায়ী করতেন। আর তাই ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে মাকে একাই হত্যা করেন তিনি।
জুতিকা বালার মুখ, হাত, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২৬টি কোপের চিহ্ন ছিল। পরে এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ আরও জানায়, মাকে হত্যার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই ছেলে অভিনয় করতে থাকেন। কিন্তু ডিবির বিভিন্ন দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং হত্যা মামলার ৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করে।
নিহত নারীর ছোট ছেলে ক্ষিতিষ বালা জানান, উপজেলার কালিভাড়ি বাজার থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তিনি ও তার বাবা বাড়ি যান। বাড়িতে গিয়ে মাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জানতে পারেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
