এডিসি কামরুলকে বরখাস্তের সুপারিশ সিএমপির

অনলাইন ডেস্ক
১২ জুলাই ২০২৪, ২০:০৬
শেয়ার :
এডিসি কামরুলকে বরখাস্তের সুপারিশ সিএমপির

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ হওয়া চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. কামরুল হাসানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আবদুল মান্নান মিয়া।

চট্টগ্রাম মেট্রো কোর্টের হাজতখানায় কর্মরত থাকার সময়ে আসামিদের মধ্যাহ্নভোজের বিল হিসেবে ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা অপব্যবহার করার জন্য সিএমপির অভ্যন্তরীণ তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার এ সুপারিশ করা হয়।

এ ছাড়াও এডিসি কামরুল হাসানের পাশাপাশি তৎকালীন মেট্রোর হাজতখানার ইনচার্জ পরিদর্শক আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। এডিসি কামরুল হাসান এখন সিএমপির পিওএম বিভাগে সংযুক্ত।

এর আগে, কামরুল হাসান মেট্রো কোর্টে সিএমপির এডিসি (প্রসিকিউশন) ও এডিসি (ক্রাইম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তদন্তের সময় এডিসি কামরুল ও অন্যদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আমরা এডিসি কামরুলকে বরখাস্তের সুপারিশসহ ফলাফলগুলোকে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছি।’

গত ৮ জুলাই দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এডিসি কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।

ক্রোক হওয়া সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না। জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেওয়া গেলেও উত্তোলন করা যাবে না। সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার, এসি ল্যান্ড, বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুদকের প্রাথমিক তদন্তে কামরুল হাসান ৯ কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪ টাকা এবং তার স্ত্রী সায়মা বেগম এক কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৮ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিএমপির বিলিং বিভাগের অন্য দুই কর্মী সদস্যের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।