যমুনার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপরে
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জে পয়েন্টে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে যমুনার পানি এখনও বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আজ শুক্রবার সারাদিন পানি স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে পানিবন্দি ও ভাঙন কবলিতদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাচ্ছে।
বন্যার পানিতে ইতোমধ্যে জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কাজ কর্মহীন বানভাসী মানুষ চিড়া-মুড়ি খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানারোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। গো-খাদ্যের সংকটের কারণে গবাদি পশু শুকিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পানিতে থাকার কারণে বসতভিটাসহ আসবাবপত্রে পচন ধরতে শুরু করেছে। অর্ধ শতাধিকের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ত্রাণ বা সরকারি সহায়তা প্রদান করা হলেও তা অপ্রতুল। অন্যদিকে, প্রতিদিন ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে মানুষজন নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২৩ হাজার ৩০৬টি পরিবারের এক লাখ ৩ হাজার ৫৯৪ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাদুর্গত এসব মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩৩ টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বন্যায় জেলার সদর, শাহজাদপুর ও চৌহালীতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা ডুবে চারজন ও পানিতে ডুবে আরও চারজন মারা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সবসময় সতর্কবস্থানে রয়েছেন। চরাঞ্চলসহ অনেকস্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা সাধ্যমত জিওব্যাগ ও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।