প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে মামলা
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি ও অপপ্রচারের অভিযোগে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী মো. মহিবুলাহ।
বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান জানিয়েছেন।
নালিশী মামলার বিবাদীরা হলেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল ইসলাম সোহাগ, মহিপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মাহাবুবুর রহমানের অনুসারী আরিফ বিলাহ নাসিম ও যুবলীগ নেতা শামীম আল সাইফুল সোহাগের অনুসারী এবং তার প্রচারণার দায়িত্বে থাকা রনি হোসেন রকি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মামলার বাদীসহ স্বাক্ষীরা গত ৯ জুলাই দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পান যুবলীগ নেতা অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল ইসলাম সোহাগের নির্দেশে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সেখানে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি ও পরিচয় তার অনুমতি ছাড়া সংগ্রহ ও ব্যবহার করে হেয় প্রতিপন্ন এবং মান সম্মান ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সুপার ইডিট করে একটি ভিডিও প্রতিমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বিবাদীরা ফেসবুকে প্রচার করে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেন। এছাড়া তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এতে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। মামলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে ১ নম্বর স্বাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. মহিবুলাহ বলেন, সাইবার আইনে মামলা ছাড়াও এ ঘটনায় রাঙাবালী ও কলাপাড়া থানায় পৃথক দুইটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার দুই নম্বর আসামি রনি হোসেন রকির প্রধান অর্থদাতা কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শামীম আল সাইফুল সোহাগ। রনির পুরো ফেইসবুক জুড়ে শুধু সোহাগ বন্দনা, তার নির্দেশেই আরিফ বিলাহ ও রনি ফেইসবুকে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে হেয় করা এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, মূলত গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী ও সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন শামীম আল সাইফুল সোহাগ। তিনি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে এ ধরনের নোংরামি করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওটিতে অনেকেই এডিটেট, ভুয়া বলে মন্তব্য করেছেন।