খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চাইলেন ঢাবির বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা

অনলাইন ডেস্ক
০৯ জুলাই ২০২৪, ১৮:৩৪
শেয়ার :
খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চাইলেন ঢাবির বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। 

 ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতির ফলে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ভর্তি হওয়ার সংবাদে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে তাকে স্থায়ী মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

এতে বলা হয়, ‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় অসামান্য সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই তাকে কথিত দুর্নীতির মামলায় প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে কারাদণ্ড দিয়ে রাজনীতি থেকে বিযুক্ত করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ৭৯ বছর বয়সী প্রবীণ নারী রাজনীতিবিদ খালেদা জিয়াকে উন্নত ও সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’ 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থার যে তথ্য আমরা পাচ্ছি, তা খুবই উদ্বেগজনক। চিকিৎসকদের সূত্রেই আমরা জানতে পেরেছি যে খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য বিদেশে নিয়ে তার চিকিৎসা প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোরে গুলশানের ভাড়াবাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। গত ২৩ জুন তার হৃদ্‌পিন্ডে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। ২২ জুন গভীর রাতে গুলশানের বাসায় হঠা অসুস্থ হয়ে পড়লে বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। গত ২ জুলাই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ এনে তার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।