সাবেক ওসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন কলেজছাত্রী

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছেন এক কলেজছাত্রী। আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বর্ণা আক্তার ওরফে বর্ষা নামের ওই ছাত্রী এ মামলার আবেদন করেন। বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামীকাল মঙ্গলবার এ আদেশের জন্য রেখেছেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন দৈনিক দ্যা বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক এমএম আমিনুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ ওরফে বিপ্লব সাবতো আজাদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বর্ষা মানিকগঞ্জে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করার সময় সৈয়দ মিজানুর ইসলামের কুদৃষ্টিতে পড়েন। তিনি বাদীকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেন। বাদী প্রত্যাখ্যান করলে তার ভগ্নীপতি ও আত্মীয়-স্বজনদের পুলিশ দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে এনে নির্যাতন করেন সৈয়দ মিজানুর ইসলাম। পরে বর্ষা প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হন। ২০২৩ সালে তারা বিয়ে করেন। এরপর সৈয়দ মিজানুর ইসলামকে মানিকগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর থানায় বদলি করা হয়। বর্ষাকে তিনি সেখানে নিয়ে যান। সেখানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা ১০ দিন থাকেন।

গত ১৭ জানুয়ারি মিজানুর ইসলাম বর্ষাকে মানিকগঞ্জ চলে যেতে বলেন। কারণ হিসেবে বলেন তার স্ত্রী ও সন্তান আসবে। বর্ষা না যেতে চাইলে তাকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন মিজানুর ইসলাম। বর্ষাকে মারতে দুইজন লোকও পাঠান তিনি। পরে তিনি ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বর্ষা পুলিশ সুপারের কাছে মিজানুর ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। পরে ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে মিজানুর ইসলাম বিয়ের কথা স্বীকার করেন। তবে কাবিননামা দেখাতে পারেননি। কাজীকে দিয়ে কাবিননামা করতে ব্যর্থ হন তিনি। পরে ১৮ জানুয়ারি বর্ষাকে বিয়ে করতে আবার প্রস্তাব দেন মিজানুর ইসলাম। ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। বর্ষাকে কাজী অফিসে রেখেই প্রথম স্ত্রীর কাছে চলে যান মিজানুর ইসলাম। বর্ষা তার মায়ের সঙ্গে মানিকগঞ্জ চলে আসেন। বিয়ের পর থেকে মিজানুর ইসলাম বর্ষাকে ডিভোর্স দিতে এবং অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন:

চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ