রাজশাহীতে রেললাইন অবরোধ, সারাদেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ

রাবি প্রতিনিধি
০৮ জুলাই ২০২৪, ১৫:৫৮
শেয়ার :
রাজশাহীতে রেললাইন অবরোধ, সারাদেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ

এক দফা দাবিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ সংলগ্ন ফ্লাইওভারের নিচে রেলপথের ওপরে অবস্থান নেন তারা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।  

এ বিষয়ে কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের রাবির অন্যতম সংগঠক আমানুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা সংগঠকরা বিকেল ৩টা পর্যন্ত অবরোধ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবরোধ চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আহমেদ হোসেন মাসুম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঢালারচর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখী ঢালারচর এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী অভিমুখী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-রাজশাহী অভিমুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। আন্দোলনটি যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে।’

এর আগে, বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিলসহ গিয়ে রেলপথে অবস্থান নেন তারা। তাদের দাবি হলো- সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। কারো হাতে প্ল্যাকার্ড, কারো মাথায় স্লোগান লেখা ফিতা বাধা। মাঝে মধ্যে পরিবেশন করা হচ্ছে বিপ্লবী ও হাস্যরসাত্মক গান। ছাত্রদের পাশাপাশি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন শতাধিক ছাত্রীও। রেলপথ অবরোধের পাশাপাশি মোড়ের চারটি সড়কও বন্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছিতো রক্ত, আরও দিবো রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’সহ বিভিন্ন স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৬ জুন থেকে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে, মানববন্ধন, সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মহাসড়ক অবরোধের মত কর্মসূচি পালন করেছে তারা।