রথযাত্রায় নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি এস ইমরুল কায়েসকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে রাখা হয়েছে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, নেসকো, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিদের। তাদের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রথযাত্রার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য বগুড়া জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি এস ইমরুল কায়েসকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারকে সৎকার কাজ সম্পন্নের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আর আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এদিকে, বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে তাদের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সর্বমোট ৩৮ জন ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ছিলেন দুজন। তাদের রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আটজনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এখন ২৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে নারী ২২ জন এবং বাকিরা পুরুষ। তাদের অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত।’
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার বিকেলে সেউজগাড়ীর আমতলা মোড়ে রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজন মারা যান। এতে আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক।
নিহতরা হলেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দুগ্রামের নরেশ মোহন্ত, শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকার আতশী, শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল গ্রামের রনজিতা, শিবগঞ্জ উপজেলার কুলুপাড়া গ্রামের অলক কুমার ও সারিয়াকান্দি উপজেলার সাহাপাড়ার জলি সাহা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।