কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে যা বললেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
০৭ জুলাই ২০২৪, ১৮:৪০
শেয়ার :
কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে যা বললেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র বহালের দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। দেশের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে এই কোটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকার পুনর্বিবেচনা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ রবিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখেছি যারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের উসকানিতে আবার যাদের মুক্তিযুদ্ধের নাম শুনলে গাত্রদাহ শুরু হয় তাদের ইন্ধনে একটি আন্দোলনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোক এ বিষয়ে সচেতন ও সোচ্চার হবে। তবে দেশের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এই কোটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকার পুনর্বিবেচনা করতে পারেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনের এই সমস্ত পরিসংখ্যান দেখে কি পরিমাণ কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ও নাতিদের জন্য সেটা সরকার নিশ্চয় পুনর্বিবেচনা করবেন। এই সংখ্যা যেনো নিশ্চিত হয়, যে সংখ্যা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য থাকবে, সেখানে অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া কোনোমতে সঠিক হবে না।’

এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে চলছে আন্দোলন। সড়ক-মহাসড়ক ও মোড়ে মোড়ে শিক্ষার্থীরা পালন করছেন ‘বাংলা ব্লকেড’। অবরোধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আজ বিকেলে শুরু হয়েছে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির। তবে কিছু কিছু জায়গায় সকাল থেকেই রাস্তায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করা।

আন্দোলনকারীরা জানান, কোটা ব্যবস্থা অগণতান্ত্রিক, অসাম্যের এবং অন্যায্য। তাই এই ব্যবস্থা বাতিলের জন্য বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমে আসা হয়েছে।

গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উত্তাল রাজপথ। ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে দাবি আদায়ে অনড় শিক্ষার্থীরা।

এতদিন বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করলেও এবার সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্ট অবরোধ করে ‘বাংলা ব্লকেড’ পালনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। উদ্দেশ্য সড়ক মহাসড়ক আচল করে দেবার। এতে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজটের শঙ্কা প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এমনকি যানজট এড়াতে রাজধানীর ধানমন্ডি, শাহবাগ সড়কের বিকল্প ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।