ফলের আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিলেন ঋষি সুনাক
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনের সরকারি ফল এখনও প্রকাশ হয়নি। তবে তার আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিলেন কনজারভেটিভ দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। টানা ১৫ ঘণ্টার ভোটগ্রহণ শেষে চলছে ভোটগণনা এবং ফল ঘোষণা। তবে এর আগেই বুথ ফেরত জরিপে ফলাফলের আভাস জানানো হয়েছে।
জরিপে বলা হয়েছে, বিরোধী দল লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার আভাস পাওয়া গেছে। তবে সরকারি ফলাফল ঘোষণার আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিলেন সুনাক।
আজ শুক্রবার সিএনএনের লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
আমি দুঃখিত মন্তব্য করে কনজারভেটিভ নেতা সুনাক বলেন, ‘লেবার পার্টি সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। আজ সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার হাত বদল হবে। ব্রিটিশ জনগণ গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। আমি এই পরাজয়ের দায় নিচ্ছি।’
তিনি লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারকে স্বাগত জানান এবং পরাজয় স্বীকার করেন।
বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী, লেবার পার্টি ৪১০টি আসনে জয় নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে এবং এই পূর্বাভাস সত্যি হলে স্যার কিয়ার স্টারমার হবেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এই জরিপের আভাসে বলা হয়েছে, লেবার পার্টি ১৭০ আসনের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পাবে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি ইতিহাসের সবচেয়ে কম ১৩১টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে।
জরিপে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি ১৩১টি আসনে জয় পেতে পারে। ৬১টি আসনে জয়ী হয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকতে পারে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে রিফর্ম ইউকে ১৩টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ১০টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ অন্য দলের ২৫টি আসনে জয়ের আভাস দেওয়া হয়েছে।
স্যার জন কারটিস এবং একদল পরিসংখ্যানবিদের তত্ত্বাবধানে করা এই বুথ ফেরত জরিপের জন্য ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের ১৩০টি ভোট কেন্দ্রের ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ড এই জরিপের আওতায় আসেনি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তবে কিছু জনমত জরিপে কনজারভেটিভ পার্টির ভেসে যাওয়ার যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল সেটি সম্ভবত দলটি এড়াতে পারবে। কিন্তু তারপরেও এটিই হবে দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে নির্বাচনী ফল। ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২৪১ আসন হারিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি এখন বড় বিপর্যয়ের মুখে।