কাস্টমস কমিশনার এনামুলের ৯ তলা ভবন, ৬ ফ্ল্যাট ও সম্পত্তি জব্দের আদেশ

আদালত প্রতিবেদক
০৪ জুলাই ২০২৪, ১৭:৫৫
শেয়ার :
কাস্টমস কমিশনার এনামুলের ৯ তলা ভবন, ৬ ফ্ল্যাট ও সম্পত্তি জব্দের আদেশ

সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের ঢাকার ৯ তলা ভবন, ছয়টি ফ্ল্যাট ও ৭১ শতাংশ স্থাবর সম্পদ জব্দের (ক্রোক) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ঢাকা ও গাজীপুরে ৭১ শতাংশ জমি এবং ঢাকার গুলশানে তিন কাঠা জামির ওপর ৯ তলা ভবন, ঢাকার মোহাম্মাদপুরে চারটি, গুলশানে একটি এবং বাড্ডায় একটি ফ্ল্যাট।

দুদকের পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন আদালতে এ আবেদন করেন। দুদকের আইনজীবী প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল তা আদালতে উপস্থাপন করে শুনানি করেন।

জব্দের আবেদনে বলা হয়, ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অপরাধে আসামি মোহাম্মদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭/১১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, আসামি তার মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পতি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে মামলার ধারাবাহিকতায় আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালতের বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নিম্নে বর্ণিত স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।

২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এনামুল হকের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। একই বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।