উপজেলা চেয়ারম্যানদের ৭৭ শতাংশ ব্যবসায়ী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী ৪৭০ চেয়ারম্যানের মধ্যে ৩৬০ জনের বা ৭৬ দশমিক ৬০ শতাংশের পেশা ব্যবসা। এ ছাড়া ৪৮ জন চেয়ারম্যানের পেশা কৃষিকাজ।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশানের জন্য নাগরকি (সুজন) আয়োজিত ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যানদের তথ্যের বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন শীর্ষক’ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উঠে আসে।
সম্প্রতি পাঁচ ধাপে শেষ হওয়া ৪৬৯ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদ ভোট স্থগিত হলেও সে নির্বাচনের ১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসগ মোট ৪৭০ জন চেয়ারম্যান নিয়ে এ বিশ্লেষণ করে সুজন। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।
৭৭ শতাংশ চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী: ৪৭০ জন বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে ৩৬০ জন পেশায় ব্যবসায়ী। যা বিজয়ী চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৭৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। ৪৮ জন চেয়ারম্যান পেশায় কৃষিজীবী। আইনজীবী রয়েছেন ১৯ জন। এ ছাড়া ১৫ জন শিক্ষক, ৭ জন চাকরিজীবী, একজন গৃহিণী, ২৮ জন অন্যান্য পেশার সঙ্গে জড়িত। পেশার ঘর পূরণ করেনি সাতজন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এসএসসি পাস করেননি ৬৭ চেয়ারম্যান: ৪৭০ জন উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে ১০৩ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, যা বিজয়ী চেয়ারম্যানদের ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ। স্নাতক পাস করেছেন ১৬৫ জন যা বিজয়ী চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৩৫ দশমিক ১১ শতাংশ। ৮৩ জন চেয়ারম্যান এইচএসসি পাস এবং ৫১ জন প্রার্থী এসএসসি পাস করেছেন। এসএসসির নিচে রয়েছে ৬৭ জন। আর একজন শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেনি।
পেশায় ব্যবসায়ী চেয়ারম্যানদের নিয়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরাও জানি মূল সংখ্যাটা আরও বেশি। অনেকে আসলে ব্যবসাই করেন। ব্যবসার সংখ্যা আরও বেশি। ব্যবসায়ী হতে পারে তাতে সমস্যা নাই। তবে এখানে টাকার খেলা থাকলে সমস্যা। যদি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনে, ভোট কিনে।’
ভোটার উপস্থিতির হার নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘যা দেখানো হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে, প্রশ্ন আছে, তাও সন্তোষজনক না। ৫০ শতাংশ পার হয়নি। নির্বাচনে ভোটারদের অনীহা ছিল। রাজনৈতিক দলগুলো ভোট বর্জন করছে। এটা একই সুতোয় গাঁথা। মূল কারণ হলো আস্থাহীনতা। জনগণের আস্থাহীনতা নির্বাচন কমিশনের ওপর।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও সুজনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘কৌশলগত দিক ছিল আওয়ামী লীগের। সেখানে তারা কিছুটা হলেও সাকসেসফুল। কারণ ভোটটা ওপেন করে দেওয়ায়।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকে। সেই জিনিসটা রাখতে পারলে ভালো। দলীয় মার্কা নিয়ে না আসাই ভালো। যে কারণে জনগণ এত সম্পৃক্ত হয়েছে। না হলে ৩৬ শতাংশ হতো না। ১৬ শতাংশ হতো।’