যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন: জয়ের সম্ভাবনা লেবার পার্টির
শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইতিমধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ১৪ বছর পর আবারও বিরোধী দল লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসতে পারে বলে বিভিন্ন জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
জনমত জরীপে কির স্টারমারের নেতৃতে বিরোধীদল লেবার পার্টি ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ দলের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি সমর্থন পাচ্ছে। কনজারভেটিভ পার্টি গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে, যে সময় ছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বাক-বিতণ্ডার মাঝে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসা এবং করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় প্রবল-সমালোচিত পদক্ষেপ
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ উরসুলা হ্যাকেট বলেছেন, ‘কনজারভেটিভদের নিয়ে ব্যাপক এবং গভীর অসন্তোষ রয়েছে। দৈনন্দিন খরচের প্রশ্নটা এখানে আছে, কিন্তু আমার মনে হয় এখানে কেলেঙ্কারি আর অনৈতিক আচরণের বিষয়টিও আছে।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
লন্ডনের পূর্ব দিকে ডার্টফোরড শহরকে বলা হয় ‘আবহাওয়া নির্দেশক’ সংসদীয় এলাকা। এই এলাকার ভোটাররা ১৯৬৪ সাল থেকে প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী দলের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে। দেশের সার্বিক হাওয়া কোন দিকে বইছে, তা ডার্টফোরডকে দেখে বোঝা যায়।
আঠারো বছর বয়সী ইয়াসমিন নিকোলস প্রথমবারের মত ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে কী হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসলে ইংল্যান্ডের মানুষ নেয় না। অনেক বিষয়ে আমাদের বলতে দেয়া হয় না, আমরা শুধু অনুসরণ করি।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
অবসরপ্রাপ্ত দোকান কর্মী লিন্ডা স্কিনার,সেই মনোভাবের প্রতিধ্বনি করলেন। ৬৪ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ বলেন, ‘সরকার আর জনগণের জন্য নয়। সত্যি কথা বলতে, আমি অনেক দিন হল ভোট দেই না। আমাদের ভোটের কোন মূল্য নেই। একই লোক প্রতিবার ক্ষমতায় আসে – লেবার, কনজারভেটিভ, তারা সব একই।’
গত বছর কোভিড-১৯ লকডাউন নিয়ম ভঙ্গ সহ কয়েকটি কেলেঙ্কারির পর জনসন পদত্যাগ করেন। জনসন ছিলেন গত আট বছরে পাঁচটি ভিন্ন কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রীর একজন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
লন্ডনের কিংস কলেজের আন্তর্জাতিক রাজনীতির অধ্যাপক আনান্দ মেনন বলেন, স্টারমারের নেতৃতে বিরোধী লেবার পার্টি জনমত জরীপে অনেক এগিয়ে আছে। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নিয়ে পাবেন সমস্যা-জর্জরিত এক অর্থনীতি। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে জনসেবা গুলো ধসে পড়ছে। বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরে মানুষের মধ্যম আয়ের প্রবৃদ্ধি খুবই ধীরে হয়েছে। কাজেই, এখানে জনগণ ক্রমশ অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’