আরও ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা
দেশের উপকূলীয় এলাকায় ও দ্বীপাঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সমুদ্র শক্তি কাজে লাগিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্লু ইকোনমি নিয়ে আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতির আওতায় সমুদ্র সম্পদ আহরণে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহের মাঝে সমন্বয় করে সকল সম্ভাবনাকে সফল ভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগ উপকূলীয় এলাকায় ও দ্বীপাঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সমুদ্র শক্তি কাজে লাগিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এডিবির সহায়তায় ২২টি সম্ভাবনাময় স্থানে অফসোর উইন্ড থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবতা যাচাই করা হয়েছে। অফসোর উইন্ড থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহকে গবেষণার কাজে উৎসাহিত করা এবং তার প্রয়োগের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্যে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাছাড়া টাইডাল বেস পাওয়ার প্লান্ট করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তা ভাবনা করছে। সমুদ্রে গ্যাস হাইড্রেট খোঁজার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর রিয়াল এডমিরাল মো. খালেদ ইকবালের (অবসরপ্রাপ্ত) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম বিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়াল এডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, এডিবির কোস্টাল, রিভার ও পোর্ট এক্সপার্ট বিষয়ক ইউনিটের মহাপরিচালক জেন হেনরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. এসএম নাফিস শামস।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?