সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ব্রাহমা জাতের ৬ গরু জব্দ করল দুদক
রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থিত সাদিক অ্যাগ্রোর খামার থেকে ব্রাহমা জাতের ছয়টি গরু জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার চালানো অভিযানে গরুগুলো জব্দ করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এর আগে সাদিক অ্যাগ্রোকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ গত সোমবার ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালায় দুদক। ওই অভিযানেরও নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। তখন কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ডা. মনিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন দুদকের তদন্তকারী দলের সদস্যরা।
ওই দিন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০২১ সালে ১৮টি আমেরিকান ব্রাহামা জাতের গরু বাংলাদেশে এনে তোলপাড় সৃষ্টি করেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান হোসেন। তবে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ থাকায় সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে ঢাকা কাস্টমস। গরুগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা হয়। পরে রহস্যজনকভাবে গরুগুলো চলে যায় ইমরানের সাদিক অ্যাগ্রোতে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকান ইমরান হোসেন। পরে মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এ তরুণ ওই ছাগলটি ১২ লাখ টাকায় কিনে নিলে সামনে চলে আসে তার বাবা মতিউর রহমানের নাম, যিনি রাজস্ব বোর্ডের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা। সঙ্গে বের হয়ে আসে তার নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে গড়া অবৈধ সম্পদের পাহাড়ের খবরও। এরই মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেন এবং তার ‘উচ্চবংশীয় পশু’র খামার নিয়েও।