আন্দোলনে আমরা অবশ্যই সফল হবো, বললেন মির্জা ফখরুল
সরকার পতনের চলমান আন্দোলন ব্যর্থ হবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের এই আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হবে না। এই আন্দোলনে আমরা অবশ্যই সফল হবো জনগণের পক্ষের যে আন্দোলন, সত্যের পক্ষের যে আন্দোলন, ন্যায়ের পথের যে আন্দোলন, রাষ্ট্রকে রক্ষার যে আন্দোলন, সমাজকে রক্ষার যে আন্দোলন, সেটা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এখন সবচেয়ে জরুরি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটা বড় সংকটের মধ্যে পতিত হয়েছে। একদিকে গণতন্ত্র নেই। অন্যদিকে দেশের সার্বভৌমত্ব আজকে হুমকির মুখে পড়েছে। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যে গণতন্ত্রের জন্য যিনি (খালেদা জিয়া) সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যিনি এখনো আটক অবস্থায় আছেন, যিনি জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন। কারণ আমরা একে আলাদা করে দেখতে চাই না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে এটা (আন্দোলন) ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমরা যে কাজটা করতে সক্ষম হয়েছি, সব রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা এক মঞ্চে উঠতে না পারলেও যুগপৎভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তকে আমি মনে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। অতি শিগগিরই যারা আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করছি, তারা বসে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠায় আমরা সফল হব।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সমমনা জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ঈমন প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?