কোটি টাকার রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে দুদিনেই

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
২৮ জুন ২০২৪, ১৬:০১
শেয়ার :
কোটি টাকার রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে দুদিনেই

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওলভাঙ্গী গ্রাম থেকে বাদুড়িয়া গ্রাম প্রর্যন্ত সড়কের নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় নির্মাণের দুদিন পার না হতেই উঠে আসছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যায়ের রাস্তার কার্পেটিং।

স্থানীয় শহিদুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, ফরিদা বেগমসহ অনেকে জানান, শুরু থেকে সড়কটিতে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছিল। রাস্তায় কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার হওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭ মিলিমিটার। এছাড়া রাস্তার চৌড়া ১০ ফুট থাকলেও অনেক জায়গায় তা মানা হয়নি। নামমাত্র বিটুমিন দেওয়ায় হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং তুলে ফেলা যাচ্ছে।

তারা জানান, নিম্নমানের কাজের অভিযোগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা কয়েকবার কাজে বাঁধা দেন। তবে বাঁধা উপেক্ষা করেই ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌঁশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওলভাঙ্গী-বাদুড়িয়া পর্যন্ত ২ হাজার ৬১৫ মিটার সড়ক পাকা করার উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এ কাজটি পান মেসার্স মোল্লা ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের ঠিকাদার নূরুল হক মোল্লা। ২০২১ সালের ৮ আগষ্ট কাজ শুরু হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার।

আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু জানান, অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে হাওলভাঙ্গী যান তিনি। সড়কটি নির্মাণের প্রথম থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে। এমন অভিযোগে কয়েকবার স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিডি অফিস ও জেলা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও অদৃশ্য কারণে এর কোনো ব্যবস্থা নেইনি কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদার নুরুল হক মোল্লা জানান, শতভাগ নিয়ম অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। কাজ দেখবে এলজিইডি। স্থানীয় লোক কী বলল, না বলল, সেটায় কান দেওয়ার দরকার নেই।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিষটি আমি জানি না। দেখছি, লোক পাঠাচ্ছি।’