‘উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে দুর্নীতি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা’
উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে দুর্নীতি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ২০টি দপ্তর/সংস্থা/সিটি কর্পোরেশনের সাথে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে দুর্নীতি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবনা এই মানসিকতা আমাদের সকলের থাকতে হবে। এমন মানসিকতা সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরও বলেন, কর্তব্য পালন করতে গিয়ে কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন অভিযোগের প্রমাণ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। অতীতেও আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
উদাহরণস্বরূপ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোভিডকালীন গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, কোভিডকালীন যেসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল আমরা প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। যার ফলে, অভিযোগের হারও কমে গিয়েছিল। সারা পৃথিবী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান সবাই যুদ্ধ করে, তাই কেউ বলতে পারবে না তাদের দেশে দুর্নীতি নেই। আমরাও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেই না। দুর্নীতির খোঁজ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
গত পাঁচ বছরে জলবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশনগুলো ব্যর্থ হয়েছে কিনা সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি এই অভিযোগ সত্য নয়। ঢাকায় আগের চেয়ে জলাবদ্ধতা অনেক কমেছে। এখন যেটুকু জলাবদ্ধতা হয়, সেটা অতি বৃষ্টির কারণে। এ ছাড়া যেসব রাস্তায় এখনও জলাবদ্ধতা হচ্ছে, সেগুলো কমানোর জন্য সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে এতদিন পর অভিযান কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, যখন যেটা নজরে আসে, তখন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সব কাজ তো সরকার এক দিনে করতে পারে না। সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলমান কার্যক্রমেরই অংশ।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনসহ ৪টি ওয়াসা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউট এবং রেজিস্টার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রতিষ্ঠানগুলো বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।